এই ঘর থেকেই উদ্ধার করা হয় প্রতিমাদেবীকে।নিজস্ব চিত্র
আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেট এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রতিমা কুণ্ডু (৫৬)।
দমদম থানার পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ভোরে স্বামীকে চা করে দিতে শোওয়ার ঘর থেকে বেরিয়ে রান্নাঘরে গিয়েছিলেন প্রতিমাদেবী। এর পরেই হঠাৎ চিৎকার শুনে ছুটে যান তাঁর স্বামী তপনবাবু। দেখেন, কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন প্রতিমাদেবী। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে পুড়ে যান তপনবাবুও। খবর পেয়ে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিনও। তবে তার আগে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
পুলিশ এসে তপনবাবু ও প্রতিমাদেবীকে আরজিকরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রতিমাদেবীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তপনবাবু আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালেই ভর্তি।
পুলিশ জেনেছে, বহু দিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন প্রতিমাদেবী। আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছে পুলিশ। প্রতিমাদেবীর অবসাদে ভোগার কথা স্বীকার করেছেন তাঁর এক আত্মীয় অঞ্জন কুণ্ডুও। তিনি বলেন, ‘‘ইদানীং প্রতিমাদেবী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতেন। এর আগে এক বার ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। তাই তাঁকে দেখভালের জন্য লোক ছিল। তিনি ছুটিতে যাওয়ায় স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে একা ছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে।’’
তবে ঘটনার তদন্ত-রিপোর্ট কোন থানা দেবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সকালে দমদম থানার পুলিশ প্রতিমাদেবী ও তপনবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ঠিকই। তপনবাবু তাঁদের জানান, তাঁর বাড়ি বিমানবন্দর থানা এলাকায়। স্থানীয় লোকজন আবার বলেন, তাঁদের বাড়ি দমদম থানা এলাকায়। এই বিভ্রান্তির জেরে দুপুর ১টা বেজে যায় প্রাথমিক পুলিশি তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করতে। দমদম থানা থেকে বিমানবন্দর থানায় ফোন করা হয় অফিসার পাঠানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত দমদম থানাই প্রতিমাদেবীর ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত-রিপোর্ট হাসপাতালে পাঠায়। প্রতিমাদেবীর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy