কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী পাঠ্যক্রম চালুর সঙ্গে এই রাজ্যে স্নাতক স্তরেও চলতি শিক্ষাবর্ষে চালু হয়েছে ওই পাঠ্যক্রম (কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক)। এর পাশাপাশি ওই পাঠ্যক্রম অনুসারী পরীক্ষা-বিধি চালু হওয়াও জরুরি। কিন্তু, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক বাতিল হয়ে যাওয়ায় সেই বিধি পাশ করানো যাচ্ছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ প্রায় ১৭০টি কলেজে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা কবে থেকে হবে, তার পদ্ধতিই বা কী হবে— এই বিষয়গুলি নিয়ে কোনও রকম তথ্য এখনও কলেজগুলির কাছে নেই।
উল্লেখ্য, অগস্টেই শুরু হয়ে গিয়েছে কলেজের প্রথম সিমেস্টারের ক্লাস। আগের নিয়ম মানলে জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরীক্ষা-বিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বৈঠকে পাশ হতে না পারায় বিষয়টি নিয়ে সংশয় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সিন্ডিকেটের সদস্য তথা ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মতোই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও এখন স্থায়ী উপাচার্য নেই। এই অবস্থায় উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়ে দিয়েছে, তাদের অনুমতি ছাড়া সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকা বেআইনি। জানানো হয়েছিল, দফতর এই বৈঠকের অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে তা স্থগিত করতে হয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকার জন্য বার বার উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ-ছ’বার সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকার অনুমতি চেয়েও তা মেলেনি। অসুবিধা হচ্ছে সব ক্ষেত্রে। এর জন্য সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়ারা।’’
অন্তর্বর্তী উপাচার্য আরও জানান, ২০২২ সালে যাঁরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন, সেই প্রায় এক লক্ষ ছাত্রছাত্রীর শংসাপত্র এখনও দেওয়া যায়নি। সেই সময়েও তা দেওয়া হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, শংসাপত্রে তৎকালীন উপাচার্যকেই সই করতে হয়। তিনি এখন নেই। তাই এই নিয়মের বদল ঘটাতে হলে সিন্ডিকেট বৈঠক করা জরুরি। তা না হওয়ায় প্রচুর ছাত্রছাত্রীর শংসাপত্র পাওয়া আটকে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy