Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
RG Kar Incident

‘তাতে আমার কী’! সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির কথা শুনেই মন্তব্য আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিকের

আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি সিভিক ভলান্টিয়ার। আবার আরজি করেরই দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ।

(বাঁ দিকে) আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৮
Share: Save:

জেলে বসেই আইনজীবীর মারফত তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন। সূত্রের খবর, সন্দীপের গ্রেফতারির খবর শুনে তিনি নাকি ভাবলেশহীন ছিলেন। পাল্টা প্রশ্ন করেন, “সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে তো কী হয়েছে? তাতে আমার কী!” সন্দীপের গ্রেফতারির খবর শোনার পর নাকি এমনই উত্তর দিয়েছেন আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার।

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি এই সিভিক ভলান্টিয়ার। আবার আরজি করেরই দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ। ঘটনাচক্রে, দু’জনেই একই জেলে সহবন্দি। সূত্রের খবর, আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে যে আন্দোলন চলছে, সেই খবরও পেয়েছেন ধৃত সিভিক। যে কাণ্ডের জন্য তিনি গ্রেফতার, এখন সেই সিভিকের কণ্ঠেই ধরা পড়েছে অন্য সুর। তিনি নাকি পাল্টা দাবি করেছেন, এই কাণ্ড যিনি ঘটিয়েছেন, তাঁকে খুঁজে বার উচিত।

আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গত ১০ অগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। গত শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানে ধৃতের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। আদালত চত্বরে তিনি জানান, তাঁর মক্কেল গোটা ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত নন। ধৃতের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, ধৃত কিছুই করেননি। উচ্চ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা পড়ে নেই। তাই তাঁর মক্কেলের জামিন পাওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। যদিও তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের বক্তব্য যাচাই করা দরকার। এর পর আদালতেও তিনি ধৃতের জামিনের আবেদন জানান। তবে তা মঞ্জুর হয়নি। ধৃতকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে গত ২ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ। তাঁরও বর্তমান ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এ ছাড়া, ওই হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের মামলার তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে দেয় আদালত। দু’টি মামলাতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার জোড়া আতশকাচের নীচে ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর গত ১৫ অগস্ট সন্দীপকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই। আর্থিক অনিয়মের মামলায় ২৪ অগস্ট এফআইআরও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তার পরই ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন সন্দীপ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE