প্রতীকী ছবি।
রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা এমনিতেই কম। তার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে সরকারি বাসের ক্রমহ্রাসমান সংখ্যাও। বস্তুত, ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির চাপ সামাল দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে সরকারি পরিবহণ নিগমের। সোম থেকে শুক্রবার অফিসের সময়টুকু কোনও মতে সামাল দিতে পারলেও দুপুর এবং রাতের দিকে সরকারি বাস কমে যাচ্ছে হু হু করে। আর ছুটির দিনে রাস্তা থেকে তা কার্যত উধাও হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, যাত্রী-ভাড়ার আয়ের উপরে নির্ভর করেই বাসের জ্বালানির খরচ তুলতে হয় সরকারি পরিবহণ নিগমগুলিকে। কিন্তু ডিজ়েলের দাম বেড়ে চললেও সেই তুলনায় আয় না বাড়ায় তেল কেনার ক্ষমতা কমছে তাদের।
পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, সোম থেকে শুক্রবারের মধ্যে অফিসের ব্যস্ত সময়ে রাস্তায় নামছে গড়ে ৪০০-৪১৫টি বাস। দুপুরের পরে সেই সংখ্যা এসে ঠেকছে ২৭০-২৮০টিতে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সকালের দিকে যত বাস নামছে, তার অন্তত ৭৫ শতাংশ একটি ট্রিপ শেষ করেই ডিপোয় ঢুকে পড়ছে। একই অবস্থা ঘটছে বিকেল এবং সন্ধ্যার বাসের ক্ষেত্রেও। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, যে সব রুটে পর্যাপ্ত যাত্রী মেলে, শুধু সেই সব রুটকেই অগ্রাধিকার দিয়ে বাস চালাতে হচ্ছে।
ডিজ়েলের লিটার-প্রতি দাম আজ, শুক্রবার থেকে ১০১ টাকায় গিয়ে ঠেকবে বলে খবর। এক
ট্যাঙ্কার তেল কিনতে নিগমের খরচ হচ্ছে ১২ লক্ষ টাকারও বেশি। সেই খরচ সামলে সপ্তাহে ৬-৭ ট্যাঙ্কারের বেশি তেল কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ টাকা সময় মতো না পাওয়ার সমস্যা। ফলে, সরকারি বাসের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজও মাঝেমধ্যে ব্যাহত হচ্ছে। সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী দিনে যাত্রীদের ভোগান্তি কোন স্তরে পৌঁছবে, সেটাই হয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy