বিকিকিনি: দোকান খোলায় হাজির হয়েছেন ক্রেতারাও। শনিবার বিকেলে, হাতিবাগান এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
উত্তর থেকে দক্ষিণ— শহরের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। রাস্তায় যানবাহন নেই বললেই চলে। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ প্রায় ঘুমন্ত শহরে দেখা গেল খোলা আছে কয়েকটি মাত্র দোকান। মালিকেরা দোকান খুলে ক্রেতার আশায় পসরা সাজাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শনিবারই একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যে সব দোকান একক ভাবে রয়েছে, সেগুলি সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে, অর্ধেক কর্মী নিয়ে খোলা যাবে। শপিং মল বা বাজারের মধ্যে যে সব দোকান রয়েছে, সেগুলি এর আওতায় পড়ছে না। শনিবার খবরের কাগজে ও টিভিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি দেখে কেউ কেউ বিকেলেই দোকান খুলে ফেলেছেন। তবে অধিকাংশ দোকানদারই জানালেন, বিজ্ঞপ্তি পড়ে দোকান খুলেছেন ঠিকই, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন যদি দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেয় তবে তাঁরা তা-ই করবেন।
হাতিবাগান এলাকায় অভয় গুহ রোডে এক মাসেরও বেশি সময় পরে তাঁর স্টেশনারি দোকান খুলে প্রতিমা ঘোষ জানান, সকালেই খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি দেখে বিকেলে দোকান খুলেছেন। যাঁরা দোকানে আসবেন তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই দাঁড়াতে বলবেন। শ্যামপুকুর স্ট্রিটের এক স্টেশনারি দোকানের মালিক সায়ন্তন হাটুই জানান, এত দিন স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের নিয়ম মেনে সকাল ১২টা পর্যন্ত দোকান খুলছিলেন। এক মাস পরে বিকেলেও দোকান খুললেন। তবে সায়ন্তনবাবু বলেন, ‘‘দোকানে জিনিসপত্র আনতে খুব সমস্যা হচ্ছে। ক্রেতারা তো জিনিস না পেয়ে চলে যাবেন।’’ ওই এলাকার আর এক দোকানমালিক জগা দাস বলেন, ‘‘বিকেলে এখানে অনেকে কেনাকাটা করতে আসেন। আজ বিকেলে দোকান খুলতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’’
আরও পড়ুন: রমজানের সময়ে বিধি মানায় জোর পুলিশের
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি মানবেন না কি স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মানবেন, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না শ্যামবাজার এলাকার কয়েক জন দোকানদার। শ্যামবাজারের এক দোকানমালিকের প্রশ্ন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কথা মতো দোকান খুলতে গেলে পুলিশ আবার বন্ধ করতে বলবে না তো? সারাদিন দোকান খুলে রাখতে পারব কি না, দ্বিধায় আছি। কোন নির্দেশ মানব, সেই বিষয়ে রাজ্য যদি স্পষ্ট করে কিছু বলে তা হলে খুব ভাল হয়।’’
আরও পড়ুন: করোনার উপসর্গ সল্টলেকের আরও এক বাসিন্দার
কেন্দ্রের নির্দেশিকা শোনার পরে দক্ষিণ কলকাতার পদ্মপুকুর রোডের একটি দোকানের মালিক অশোক টিবরেওয়াল জানান, তাঁর দোকানে স্টেশনারি জিনিসপত্র ছাড়াও পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় খাতা, পেন, পেনসিল পাওয়া যায়। অশোকবাবু বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের পড়াশোনা তো চলছে। ওদের খাতা বইয়ের চাহিদা আছে। তাই আজ থেকে ওদের কথা ভেবে বিকেলেও দোকান খুলছি। তবে আমার দোকানের উপরেই বাড়ি। পুলিশ দোকান বন্ধ করতে বললে বাড়ি চলে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy