ভাঙচুর করা হয় গাড়িতেও।—ছবি সংগৃহীত।
এ বার ত্রাণ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক গোলমালে উত্তপ্ত হল টিটাগড় স্টেশন চত্বর। মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। ব্যারিকেড খুলে গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় ঢোকার অভিযোগ এনে ভাঙচুর করা হয় ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ, সিপিএমের তড়িৎ তোপদারের গাড়ি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবার ওই এলাকার এক জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে এলাকায় কয়েক দিনের জন্য খাবার বিলি বন্ধ করার আবেদন করা হয়। তা না-শোনাতেই গোলমাল।
তড়িৎবাবুর অভিযোগ, তাঁদের ত্রাণ বিলি বন্ধ করতে চেয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল এমন ঘটিয়েছে। তাঁর অভিযোগের তির স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী, তৃণমূল নেতা রাজেশ দাসের বিরুদ্ধে। রাজেশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লকডাউন শুরুর পর থেকে টিটাগড় স্টেশন লাগোয়া এস পি মুখার্জি রোডে রান্না করা খাবার খাওয়াচ্ছিল সিপিএম। প্রায় রোজই সেখানে যেতেন তড়িৎবাবু। সোমবার সেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক নার্সের করোনা-রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই এলাকা সিল করে দেয় পুলিশ।
রাজেশের দাবি, তাঁরা কখনওই খাবার বিলির কর্মসূচি বন্ধ করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এলাকার এক জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে দু’সপ্তাহের জন্য খাওয়ানো বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। কারণ, অনেকে বাইরে থেকে খাওয়ার জন্য আসছিলেন। তাতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।’’
সিপিএমের অভিযোগ, মঙ্গলবার খাবার খাওয়ানো শুরু করার পরেই তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। যাঁরা খাচ্ছিলেন, তাঁদের খাবারের থালা ফেলে দেওয়া হয়। সেই সময়ে তড়িৎবাবু ওই এলাকায় আসছিলেন। বাঁশের ব্যারিকেড খুলে তাঁর পথ করে দেন দলের লোকেরাই। তা দেখে তেড়ে আসে কয়েক জন। তড়িৎবাবু বলেন, “পুলিশ না বাসিন্দারা, বাঁশ কারা লাগিয়েছেন জানতে চেয়েছিলাম। পুলিশ জানায়, ব্যারিকেড তারাই করেছে। ফলে আমি গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। সেই সময়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায়। গাড়ি ভাঙচুর করে।”
যদিও রাজেশবাবু বলেন, “এলাকার লোকেরাই ব্যারিকেড ভাঙার প্রতিবাদ করেছেন।” আর বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল বলেন, “যাঁরা হামলা করেছেন, তড়িৎবাবু তাঁদের চেনেন। সকলেই তৃণমূলের। কেন তিনি বিজেপির নামে অভিযোগ করলেন, তিনিই জানেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy