প্রতীকী চিত্র।
গাঁজা-মদ বিক্রির জন্য এলাকার দখল নিয়ে রাতভর ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। দুই দুষ্কৃতী দলের তাণ্ডবে রবিবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন তালতলা এলাকায় বোমাবাজি চলে। অভিযোগ, বিস্ফোরণে একাধিক বাড়ির জানলার কাচ ও কাঁচা বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। আতঙ্কিত এলাকার প্রায় তিনশো পরিবার।
এই ঘটনায় বরুণ সিংহ নামে এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বরুণের দাবি, তিনি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। এই গন্ডগোলে কোনও ভাবেই জড়িত নন। একদল দুষ্কৃতী জোর করে তাঁর কোমরে ওয়ান-শটার পিস্তল গুঁজে দিয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “রবিবার রাত থেকে মোটরবাইকে করে এসে ২০-২২ জন দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায়। ওই ঘটনায় ভোদু ও বাপ্পা, এই দুই দুষ্কৃতীর নাম উঠে এসেছে। এদের সঙ্গে কাশী নামে এক মদ-গাঁজা বিক্রেতার লড়াই চলছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরাই।
সোমবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, এ দিক-ও দিক বিস্ফোরণের স্পষ্ট কালো দাগ ও পোড়া সুতলি পড়ে। অভিযোগ, কাঠপোল, খালপাড়ের শীতলা মন্দির ও শচীন্দ্রপল্লিতে দিনেও গাঁজা, মদ আর সাট্টার কারবার চলে। গত চার বছর ধরে ওই সব এলাকায় মদ ও গাঁজা বিক্রি নিয়ে দুই দলের লড়াই চলছে। মাঝেমধ্যে এ জন্য এলাকায় বোমা-গুলি চলে।
অভিযোগ জানিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় গাঁজা ও মদের ঠেকের ছবি জমা দিয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে ঠেকের ছবি-সহ পোস্টার সাঁটিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এলাকায় পুলিশের টহলদারি গাড়ি এলেও ওই সবে নজরদারি থাকে না বলেই দাবি। এমনকি ঠেকে নরেন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের গল্প করতেও দেখা যায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত বাসিন্দারা এ বার বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারকে জানাবেন। এমনকি, ওই থানার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে অভিযোগও জানাতে চলেছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে গিয়েছে। প্রকাশ্যে মদ-গাঁজা ও সাট্টার ঠেক চলছে। আর সেই সব ঠেক ঘিরে অসামাজিক কাজ চলে।
নরেন্দ্রপুর থানার বক্তব্য, ঘটনায় যাদের নাম উঠে ছে, তারা কয়েক মাস ধরে এলাকা ছাড়া। তাদের খোঁজে নিয়মিত এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। যদিও এলাকাবাসীর দাবি, ওই দুষ্কৃতীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ দায় সারতে দুষ্কৃতীদের পলাতক দেখাচ্ছে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের সব অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় মদ, গাঁজা ও সাট্টার ঠেক ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বোমাবাজির ঘটনা জড়িতদের খোঁজও শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy