প্রতীকী ছবি।
বিধাননগর পুর নিগমের প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলি পরিষ্কার রাখতে ছোট ছোট ‘টিপার’ গাড়ি কেনা হচ্ছে। এ ছাড়াও তিনটি নতুন কম্প্যাক্টর যন্ত্র কেনার জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। টিপার গাড়িগুলি সরু গলিতে ঢুকে আবর্জনা তোলার কাজ করবে। বিশেষ করে রাজারহাট, নিউ টাউন এবং মহিষবাথানের সংযোজিত এলাকায় আবর্জনা সরাতে সুবিধা হবে। ওই সব এলাকায় অনেক রাস্তাই খুব সঙ্কীর্ণ। বড় গাড়ি ঢোকানো যায় না।
বিধাননগর পুরসভা থেকে পুর নিগমে উন্নীত হলেও পরিকাঠামোর সেই ভাবে উন্নতি হয়নি। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা এলাকা পুরোটাই বিধাননগরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। নিউ টাউনের কিছু এলাকাও বিধাননগরে জুড়েছে। সল্টলেক পরিকল্পিত নগরী হওয়ায় সেখানে পরিকাঠামো তুলনায় ভাল ছিল।
নতুন সংযোজিত এলাকায় পরিকাঠামো না থাকায় সল্টলেক থেকে সাফাইকর্মীরা আবর্জনা তোলার গাড়ি নিয়ে গিয়ে সেখানে কাজ
করছেন। তার ফলে সল্টলেকের আবর্জনা ঠিক মতো পরিষ্কার হচ্ছে না। বাসিন্দারা মাঝেমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাই এলাকায় পরিষেবা উন্নত করতে নতুন কিছু যন্ত্র কেনা হচ্ছে।
বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘ভাগাড়ে আবর্জনা সমান করার জন্য একটি বড়সড় চেন ডোজার কেনা হচ্ছে। তিনটি নতুন কম্প্যাক্টর কেনা হচ্ছে। এক-একটির দাম ৩৭ লক্ষ টাকা। ময়লা ফেলার জন্য ১০ চাকার একটি ডাম্পার (বড় লরি) কেনার প্রস্তুতি চলছে। ময়লা ফেলার গাড়িগুলি বহু পুরনো হওয়ায় কাজের অসুবিধা হচ্ছে। তাই নতুন
গাড়ি প্রয়োজন।’’
জঞ্জাল বিভাগের এক কর্তা জানান, সংযোজিত এলাকার ১, ২, ৩, ১২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দেড় বছরের মধ্যে ভূগর্ভে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এ বারের বৃষ্টিতে রাজারহাটের কোনও ওয়ার্ডেই জল জমেনি। যেটুকু জমেছিল, তা-ও ৭২টি পাম্প বসিয়ে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সল্টলেক এবং রাজারহাট এলাকা ডেঙ্গিপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই ওই এলাকায় জমা জল এবং আবর্জনা সরাতে পুরসভা এ বার আগে থেকেই উদ্যোগী হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy