ফাইল চিত্র।
মৃদু ও মাঝারি উপসর্গ থাকা করোনা রোগীদের উপরে প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা ইতিমধ্যেই হয়েছে। কিন্তু, করোনা-আক্রান্ত সঙ্কটজনক রোগীদের উপরে তেমন ভাবে কোনও গবেষণা হয়নি। সম্প্রতি সেই গবেষণা শেষ করল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল।
অনলাইন মেডিক্যাল আর্কাইভে ‘প্রি-প্রিন্ট প্রিভিউ’ হিসেবে ইতিমধ্যেই ওই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। শীঘ্রই সেটি মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হবে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের এপ্রিল-মে-জুন— এই তিন মাসে পিয়ারলেস হাসপাতালে আইসিইউয়ে ভর্তি থাকা ২৯৪ জন রোগীর তথ্যের উপরে ‘ইউনিভ্যারিয়েট অ্যানালিসিস টুলস’-এর মাধ্যমে গবেষণাটি করা হয়। তাতে ছিলেন ওই হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক, অজয়কৃষ্ণ সরকার, সুজিত কর পুরকায়স্থ-সহ অন্যেরা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওই রোগীদের মধ্যে ২০১ জন প্রতিষেধক নেননি। বাকি ৯৩ জনের মধ্যে ৭৮ জন কোভিশিল্ড এবং ১৫ জন কোভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২৯৪ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। তাঁদের ৩১ জন প্রতিষেধক না-নেওয়ার ক্যাটাগরিতে ছিলেন। বাকি ৯ জনের মধ্যে ৬ জন শুধু প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নিয়েছিলেন। এবং তা নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর তিন জন দু’টি ডোজ়ই নিয়েছিলেন। প্রশ্ন হল, দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরেও সংক্রমণ ও মৃত্যু হল কেন? শুভ্রজ্যোতি জানাচ্ছেন, দেখা গিয়েছে, ওই তিন জনেরই অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস ছিল। এ ছাড়াও, এক জনের ছিল হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, আর এক জন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সেই কোমর্বিডিটির কারণেই মৃত্যু হয়েছে।
শুভ্রজ্যোতি জানাচ্ছেন, একটা বিষয় স্পষ্ট যে, প্রতিষেধক নেওয়া ৯৩ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। অর্থাৎ বাকি ৮৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েও বেঁচে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, “করোনা সংক্রমিত হলে সাধারণের চেয়ে ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের তিন গুণ, কার্ডিয়োভাস্কুলার ও ক্যানসার আক্রান্তদের দ্বিগুণ বেশি মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাছবিচার না করে প্রতিষেধক নিয়ে নেওয়াটা খুব জরুরি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy