তথন ট্রেনের কামরায় অদিতি দে। ছবি: অদিতি দে-এর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া
দোলের দিন চলন্ত ট্রেন লক্ষ করে ইট-পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে আকছার। এ বার পার্ক সার্কাসে ট্রেনের মহিলা কামরা লক্ষ করে প্লাস্টিকের প্যাকেট-বন্দি প্রস্রাব ছোড়ার অভিযোগ উঠল। আর তা গিয়ে লাগল কামরায় বসে থাকা মহিলা সাংবাদিকের গায়ে। সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে চূড়ান্ত অভব্যতার শিকার হলেন অদিতি দে নামে ওই তরুণী। সোনারপুরের বাসিন্দা অদিতির অভিযোগ, শুধু প্রস্রাব নয়, কামরা লক্ষ করে ঢিলও ছোড়া হয়। তবে অল্পের জন্য তার আঘাত থেকে বেঁচে যান তিনি। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন অদিতি। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ইট-পাটকেল বা প্রস্রাবের বদলে যদি অ্যাসিড ছোড়া হত, তা হলে কী হত?’’
পেশায় সাংবাদিক অদিতি দে। যাদবপুরে অফিস তাঁর। এ দিন ব্যক্তিগত কাজে শিয়ালদহ গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরতে সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭.৪৫-এর ডায়মন্ড হারবার লোকাল ধরেন। ট্রেনে উঠে জানালার ধারের সিটে বসে পড়েন তিনি। কিন্তু ট্রেন পার্ক সার্কাস ছাড়তেই ঘটল বিপত্তি। অদিতির কথায়, ‘‘স্টেশন ছেড়ে ট্রেন কিছুটা গতি নিতেই, পার্ক সার্কাসের কবরস্থান লাগোয়া বস্তি থেকে ট্রেনের মহিলা কামরা লক্ষ করে উড়ে আসে প্লাস্টিকের প্যাকেট-বন্দি প্রস্রাব। জানালায় লেগে সেই প্যাকেট ফেটে যায়। আর মুহূর্তেই ওই তরল ছিটকে লাগে আমার চোখে-মুখে, গায়ে। নোংরা হযে যায় পোশাকআশাকও।’’ শুধু তাই নয়, অদিতি বলছেন, ‘‘পরমুহূর্তেই জানালা লক্ষ করে ঢিল ছোড়া হয়। তবে সরে যাওয়ায় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি। না হলে যে কী হত, ভাবতে পারছি না।’’
নিত্যযাত্রীরা বলছেন, নিত্যদিনই ওই এলাকা থেকে মহিলা কামরা লক্ষ করে কিছু না কিছু ছোড়া হয়। রোজই ঘটে চলেছে এমন তাণ্ডব। ট্রেন পার্ক সার্কাস ঢুকলে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকেন যাত্রীরা। এ দিন যার শিকার হয়েছেন অদিতি। ফেসবুকে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নীরব মোদীদের মতোই পরিকল্পনা ছিল! টোপ দিয়ে দেশে আনা হয়েছিল রাণা কপূরকে
এ দিনের ঘটনায় কার্যত হতভম্ব অদিতি। বলছেন, ‘‘এত দিন অন্যের মুখে এমন অভিজ্ঞতার কথা শুনতাম। কিন্তু এ বার নিজেই তার শিকার হলাম। ঝড়ের গতিতে কী যে হল বুঝতেই পারলাম না। ওই প্লাস্টিকে যদি অ্যাসিড থাকত, তা হলে যে কী হত? কে দায় নিত তার? এটা ভেবেই শিউরে উঠছি।’’ এ দিন অদিতির এই ঘটনা, ফের এক বার যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্নটা তুলে দিয়েছে। নিত্যযাত্রীদের নিত্য অভিযোগ, এমন ঘটনা বহু বার ঘটলেও হাত গুটিয়ে রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy