সপ্তাহও ঘোরেনি। চারুচন্দ্র কলেজে ফের গণ্ডগোল। শনিবার বহিরাগতেরা ঘেরাও করে রাখলেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। যার জেরে কাল, সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকাল ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন শিক্ষকদের বড় অংশ। তবে পরীক্ষার্থীদের কোনও ভাবে বাধা দেওয়া হবে না।
গত সপ্তাহেই বহিরাগতদের উৎপাতের জেরে নিরাপত্তার দাবিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা মূল ফটকে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। তখন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গিয়ে অবস্থান তুলেছিলেন। এ দিন ফের বহিরাগতেরা ভিতরে ঢোকার দাবি করেন বলে অভিযোগ। তখন প্রথম বর্ষের ক্লাস হচ্ছিল। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা বাইরে থেকে এসে ঢোকার দাবি জানান। বাধা দিলে তাঁরা গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদেরও তাঁরা যোগ দিতে বাধ্য করেন। এ দিন অধ্যক্ষ সত্রাজিৎ ঘোষ আসেননি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক বিমলশঙ্কর নন্দ জানান, প্রায় ৬০ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। এঁদের মধ্যে আট জন ডায়াবিটিস ও এক জন ক্যানসারের রোগী। পুলিশে খবর গেলেও বিক্ষোভকারীদের সরানো যায়নি।
রাত আটটা নাগাদ টিএমসিপি-র এক নেতা ও পুলিশকর্মীরা কলেজে আসেন। তাঁদের হস্তক্ষেপেই বিক্ষোভ উঠে যায়। ‘‘প্রায়ই কলেজে গোলমাল হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সোমবার থেকে ক্লাস বয়কট হবে।’’ বললেন বিমলশঙ্কর নন্দ।
সম্প্রতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য চার লক্ষ টাকা দাবি করে বিদায়ী ছাত্র সংসদ। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, সম্ভব নয়। নাছোড় টিএমসিপি-র সমর্থকেরা গত ২১ জুলাই কয়েক ঘণ্টা অধ্যক্ষ সত্রাজিৎ ঘোষের ঘরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। অধ্যক্ষের অভিযোগ, কুৎসিত ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেন বহিরাগতেরা। তিনি ইস্তফা দিতে চান।
২২ জুলাই শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাই গেটে অবস্থানে বসে যান। শিক্ষামন্ত্রী গিয়ে অবস্থান তোলেন। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই আবার অশান্তি। টিএমসিপি-র দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি দাবি করেন, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে টিমসিপি-র কেউ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy