মন্টু কুণ্ডু
বন্ধুর পায়ে পানের পিক ফেলার প্রতিবাদ করেছিলেন অন্য এক বন্ধু। অভিযোগ, তারই জেরে ওই দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করেছেন দুই অটোচালক। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙা অটোস্ট্যান্ডে। এই ঘটনায় মানিকতলা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই অটোচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা
হলেও রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ডানকুনির বাসিন্দা, আইটিআই-এর পড়ুয়া মন্টু কুণ্ডু এবং তাঁর বন্ধু প্রীতম দত্ত একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজের খোঁজে মঙ্গলবার সকালে উল্টোডাঙা গিয়েছিলেন। প্রীতমের কথায়, ‘‘মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ অটোস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে হেঁটে উল্টোডাঙা স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলাম। অটোয় বসে গল্প করা এক যুবক আচমকা আমার পায়ে পানের পিক ফেলেন। মন্টু ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই
দেখি, এক যুবক মন্টুকে মারধর করছেন।’’ স্থানীয় সূত্রের খবর, বন্ধুকে মারতে দেখে এগিয়ে যান প্রীতম। মন্টুকে ছাড়াতে গেলে উল্টে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রীতম বলেন, ‘‘মন্টু মার খাচ্ছে দেখে ওকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকি। তখন আমার মুখে ঘুসি মারা হয়।’’ দুই বন্ধুর দাবি, দিনেদুপুরে ঘটনাটি সবার সামনে ঘটলেও কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেননি।
মার খাওয়ার পরে প্রীতম ও তাঁর বন্ধু নিকটবর্তী উল্টোডাঙা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। থানার কর্তব্যরত আধিকারিককে ঘটনাটি জানালে পুলিশের গাড়িতে করে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলটি মানিকতলা থানার এলাকাভুক্ত হওয়ায় ওই গাড়িতেই তাঁদের ফের মানিকতলা থানায় পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানান দুই বন্ধু। এ দিন প্রত্যক্ষদর্শীদের ভূমিকার সমালোচনা করলেও পুলিশের প্রশংসা করেন দুই অভিযোগকারী। তাঁরা জানান, পুলিশ যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে অভিযোগ শুনে তাঁদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সংশ্লিষ্ট থানায় পুলিশের গাড়ি করে নিয়ে যাওয়ায় অপরিচিত শহরে তাঁদের নাজেহাল হতে হয়নি বলে জানান দুই বন্ধু। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের আবেদন জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। প্রীতম বলেন, ‘‘যে দু’জন আমাদের মেরেছেন, তাঁরা অটোচালক বলে জেনেছি। উল্টোডাঙা অটোস্ট্যান্ডে অটোয় বসে এবং দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন ওঁরা।’’
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ উত্তর কলকাতার আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি মানা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অটোচালকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ তদন্ত করুক। অটোচালকদের অভব্যতাকে সংগঠন প্রশ্রয় দেবে না। কিছু চালক এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy