—প্রতীকী ছবি।
রাতে এক তরুণীর বাড়িতে এসে তাঁকে গাড়িতে তুলে একটি নির্মীয়মাণ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পরিচিত এক যুবক ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে। বুধবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানা এলাকায়। তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সকালে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম শেখ সমীর ওরফে দাঁতন এবং রিজওয়ান খান ওরফে ভিকি। আর এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ইতিমধ্যেই ধর্ষণের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। ধৃত ভিকি এবং সমীরকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী বছর ৩২-এর তরুণী তালতলা থানা এলাকার বাসিন্দা। ভিকির সঙ্গে কয়েক মাস আগে তাঁর পরিচয়। লিখিত অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে তাঁকে ফোন করত ভিকি। বুধবারও মাঝরাতে ফোন করে বলে রুবির কাছে আসতে। কিন্তু অত রাতে বেরোতে রাজি হননি তরুণী। এর পরে রাত ১২টা নাগাদ ভিকি, সমীর ও তাদের এক বন্ধু গাড়িতে করে তরুণীর বাড়িতে আসে। তাঁকে গাড়িতে তুলে নেয়।
অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, বাইপাস সংলগ্ন একটি বাড়িতে আসার পথে গাড়িতে তাঁকে মারধর করে ভিকি, সমীর ও তাদের ওই সঙ্গী। তিনি চিৎকার করায় সঙ্গী যুবকটি মাঝপথে নেমে যায়। নির্মীয়মাণ ঋত্বিক ঘটক মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ভিকি ও সমীর তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁকে খুনের হুমকিও দেয় তারা।
অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি শেষ রাতে কোনও মতে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে তিলজলা থানায় গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানান। কিন্তু ঘটনাস্থল আনন্দপুর থানা এলাকায় হওয়ায় তিলজলা থানা প্রাথমিক অভিযোগ নিয়ে (জ়িরো এফআইআর) তা আনন্দপুর থানায় পাঠিয়ে দেয়।
তদন্তে নেমে আনন্দপুর থানা তরুণীর বয়ান নথিভুক্ত করার পাশাপাশি তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করায়। অভিযুক্ত দুই যুবককে এ দিন সকালে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জেনেছে, ভিকির সঙ্গে পরিচয় ছিল তরুণীর। সেই পরিচয়ের সূত্রেই ভিকি ফোন করেছিল তাঁকে। কিন্তু তরুণী বাড়ি থেকে বেরোতে রাজি না হওয়ায় ভিকি তার দুই বন্ধুকে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে তুলে আনে বলে অভিযোগ।
বাইপাস সংলগ্ন যে বাড়িতে তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেটি কার, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত। তরুণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ঘটনার সময়ে কত জন ছিলেন, তা দেখা হচ্ছে। এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy