প্রতীকী চিত্র।
শরীরে বাসা বাঁধা দু’টি ক্যানসার নিয়েও সুস্থ হলেন প্রৌঢ়। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন হাসপাতাল-বাস এড়াতে রোবোটিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কিডনি থেকে টিউমার বার করে তিন দিনেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, বছর ৬১-র ওই রোগী। চিকিৎসকেরা বলছেন, পুরো বাদ না দিয়ে কিডনি বাঁচানোর এই পদ্ধতির নাম পার্শিয়াল নেফ্রেক্টমি। সূক্ষ্ম এই অস্ত্রোপচার রোবটের সাহায্যে করলে অনেকটা নিখুঁত হয় এবং কম কাটাছেঁড়া ও রক্তপাত হয়।
ওই রোগীর পরিবার সূত্রের খবর, প্রথমে তাঁর ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়েছিল। রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপি দিয়ে সেই চিকিৎসা কিছুটা এগোতে জানা গেল, তিনি কিডনির ক্যানসারেও আক্রান্ত। ডান দিকের কিডনিতে ছ’সেন্টিমিটার আয়তনের টিউমার থাকলেও বাঁ কিডনিটির কর্মক্ষমতা ছিল ন্যূনতম। ফলে ক্যানসার আক্রান্ত ডান কিডনি বাদ দেওয়া নিয়ে দোলাচলে ছিলেন হাওড়ার নারায়ণা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। প্রৌঢ়ের ডায়ালিসিস এড়াতে ইউরো-অঙ্কোলজিস্ট চিকিৎসক অভয় কুমার সিদ্ধান্ত নেন, পার্শিয়াল নেফ্রেক্টমি করে ডান কিডনি সংরক্ষণ করার। তাঁর কথায়, “পার্শিয়াল নেফ্রেক্টমির ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে দু’টি সমস্যা হতে পারে— রক্তপাত এবং মূত্রথলিতে ফুটো। কিন্তু রোবটের সাহায্যে অস্ত্রোপচার করায় সেই জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।”
নেফ্রোলজিস্ট বিস্ময় কুমার বলছেন, “রোগীর ফুসফুসে ক্যানসার থাকায় রোবোটিক সার্জারির সময়ে অ্যানাস্থেশিয়া ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ ক্ষেত্রে কিডনি বাঁচাতে পার্শিয়াল নেফ্রেক্টমি জরুরি। রোবটের সাহায্যে অস্ত্রোপচার সেই সূক্ষ্ম কাজ দক্ষতার সঙ্গে করা গিয়েছে। তাই হয়তো এই ঝুঁকি নিয়েছেন ওই চিকিৎসক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy