ফাইল চিত্র।
গত লোকসভা নির্বাচনেই পরিবহণ ক্ষেত্রের শ্রমিক-মালিকদের অসন্তোষের আঁচ ভোটবাক্সে পড়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। ভাড়া না বাড়ার অভিযোগের পাশাপাশি যানশাসনের নামে পুলিশের যথেচ্ছ জরিমানা আদায় নিয়েও সরব হন মালিক এবং পরিবহণ কর্মীদের বড় অংশ। করোনাকালে লকডাউন ও পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে ফের হতাশার মেঘ ঘনিয়েছে পরিবহণ ক্ষেত্রে। তবে আজ, শুক্রবার বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণপরিবহণে কিছু আশার কথা শোনাতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জেরবার বাসমালিকদের সুরাহা দিতে ভর্তুকির কথা ঘোষণা করা হতে পারে বাজেটে। এ ছাড়াও পথ কর মেটাতে দেরি হলে ও বাণিজ্যিক গাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে যে জরিমানার মুখে পড়তে হয়, তাতেও ছাড় মিলতে পারে।
ডিজ়েলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাস ও ট্যাক্সি সংগঠনগুলি ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানালেও সরকার অনুমোদন করেনি। ফলে ক্ষোভ বেড়েছে মালিক-কর্মচারী মহলে। পরিস্থিতি বুঝে পরিবহণ শ্রমিক-কর্মীদের দাবিদাওয়ার সুরাহা করতে দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মদনবাবু বলেন, ‘‘পরিবহণ শ্রমিক ও অপারেটরদের সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীর বিবেচনায় আছে। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর সময়ে এই দিকটি উপেক্ষা করা হয়।’’ সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনগুলির বৈঠক প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে সব সময়ে সরকারের সাহায্য চেয়েছি। এই সঙ্কটও কাটবে।’’ যদিও পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে একাধিক সংগঠন পথে নামতে পারে। এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘দেরিতে হলেও পরিবহণ শ্রমিকদের ক্ষোভের কথা সরকার বুঝলে মঙ্গল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy