গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম ট্রাফিক সার্জেন্ট বিশ্বজিৎ সাহা। —নিজস্ব চিত্র।
লকডাউনের দিনে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন বিশ্বজিৎ সাহা নামে এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগায় তাঁকে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারার পর গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় চালক এবং তার সঙ্গী। পরে গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে বেহালা থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই যুবককে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙা থানা এলাকার হাডকো এবং কাঁকুড়গাছির সংযোগস্থলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাতসকালে একটি প্রাইভেট গাড়িকে হাডকো মোড়ের কাছে বেপরোয়া ভাবে আসতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। আটকানোর চেষ্টা হলে, গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে কাঁকুড়গাছির দিকে পালানোর চেষ্টা করে চালক। সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট বিশ্বজিৎ সাহাকে বিষয়টি জানান। তিনি কাঁকুড়গাছির কাছে গাড়িটিকে বেপরোয়া ভাবে আসতে দেখে দাঁড় করানোর চেষ্টাও করেন। তখনই ওই পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি, তার পর তাঁকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করে চালক এবং তার সঙ্গী।
ওই সময় গাড়িটিকে আটকানো যায়নি। পরে গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে পর্ণশ্রী থানার পুলিশকর্মীদের সাহায্যে বেহালা থেকে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। বছর চব্বিশের আকাশ হালদারের বাড়ি বেহালার ডায়মন্ড সিটি কমপ্লেক্সে। ধৃত আরও এক যুবকের বাড়ি ওই এলাকাতেই। নাম তিতাস মিত্র। বাড়ি বাসুদেবপুরে।
আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলেছিলাম, মারা গেলে পরিবারকে জানিও’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় রানওয়ের মুখ থেকে মসজিদ সরবে কি, ফের প্রশ্ন
পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাফিক সার্জেন্ট গুরুতর আঘাত পান। তাঁর কাঁধ এবং শরীরের অন্যান্য অংশের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আপাতত বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩৩৩, ৩০৭ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এ ছাড়াও ১৮৮ আইপিসি এবং ২১বি বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও মামলা রজু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy