অনিয়ম: পরীক্ষার মরসুম চললেও সভার জন্য বাঁধা হচ্ছে মাইক। শনিবার, শহিদ মিনার ময়দানে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
শহিদ মিনার চত্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জনসভা। তাই আজ, রবিবার ছুটির দিনেও যানজট এবং ভোগান্তির আশঙ্কা থাকছেই।
ওই জনসভার জন্য শহরের তিন প্রান্ত— হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন এবং মুরলীধর সেন লেন থেকে ধর্মতলার দিকে বড় মাপের মিছিল আসবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শহরে আসার পরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতায় তাঁর যাত্রাপথে বিক্ষোভ হতে পারে। এমন কিছু হলে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানার মতো জায়গায় বেড়াতে গিয়ে মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মূলত চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এজেসি বসু রোড, এপিসি রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, ব্রেবোর্ন রোডে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। তবে ধর্মতলা চত্বরে মিছিলগুলি এলে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার একাংশেও যানজট হতে পারে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফরের সময়ে গাড়ি ও পথচারীদের চলাচল দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রাখে পুলিশ। এর জেরে সমালোচনা শুনতে হয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। এ বার তাই সতর্ক লালবাজার। তাদের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়ের যাতায়াতের জন্য অহেতুক গাড়ি চলাচল পুরো স্তব্ধ করা হবে না। শনিবার লালবাজারের বৈঠকে এই জনসভা নিয়ে বলা হয়েছে, গাড়ি ও পথচারীদের চলাচল অকারণ আটকানো যাবে না। অমিত শাহ রাস্তার যে দিক দিয়ে যাবেন, তার পাশের লেন দিয়েই গাড়ি চালাতে হবে। পরিস্থিতি ঘোরালো হলে গাড়ি ও পথচারীদের সাময়িক ভাবে আটকাতে বলা হয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, বেলা ১১টায় বিএসএফের বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন অমিত। তার পরে নিউ টাউনে নয়া এনএসজি হাবের উদ্বোধন করবেন। সেখান থেকে সড়কপথে শহিদ মিনারের জনসভায় পৌঁছবেন। সেখান থেকে যাবেন কালীঘাট মন্দিরে। পুজো দিয়ে সড়কপথে ফের নিউ টাউনের একটি হোটেলের অনুষ্ঠানে যাবেন। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ সেখান থেকেই বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ বিএসএফের বিমানেই দিল্লির দিকে যাত্রা করবেন।
‘জ়েড প্লাস’ নিরাপত্তা প্রাপ্ত অমিতের মূল নিরাপত্তা সিআরপিএফের হাতে। তাঁর যাত্রাপথের নিরাপত্তা সামলাবে বিধাননগর এবং কলকাতা পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা যাতে শাহের কনভয়ের সামনে পৌঁছতে না পারেন সে জন্য অন্তত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এক জন করে ডিসি-র নেতৃত্বে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে। শহিদ মিনার চত্বরে এক জন যুগ্ম কমিশনার এবং দু’জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার নিরাপত্তা সামলাবেন। ডিসি-র নেতৃত্বে বিশেষ নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে কালীঘাট মন্দিরও।
শুক্র ও শনিবার শহিদ মিনার এবং সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার মহড়া হয়েছে। এ দিন রাত থেকেই শহিদ মিনার ময়দানের চারপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যাতায়াতের সব তথ্য লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy