প্রতীকী ছবি।
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং সামনের সারিতে থেকে কাজ করে চলা কর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার দাবি জানালেন বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার কর্মচারীরা।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি ও বেসরকারি পরিবহণকর্মী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চলছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল’-এর সচিব নীলাঞ্জন বসু বললেন, “রাজ্যের পর্যটন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে চিঠি দিয়েছি। আমাদের আবেদন, পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের, বিশেষ করে যাঁরা একেবারে সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন, তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা হোক।”
নীলাঞ্জনবাবু জানান, রাজ্য জুড়ে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। কেউ হয়তো কোনও পর্যটন কেন্দ্রে গাড়ি চালান, কেউ গাইডের কাজ করেন, কেউ কাজ করেন হোটেলে, কাউকে আবার বসতে হয় পর্যটন সংস্থার ফ্রন্ট অফিসে। এঁদের সকলকেই যে হেতু পর্যটকদের সরাসরি সংস্পর্শে আসতে হয়, তাই তাঁদের সুস্থতার কথা ভেবে অবিলম্বে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার।
নীলাঞ্জনবাবু জানান, করোনা পরিস্থিতিতে এখন পর্যটন কর্মীদের অনেকেরই হাতে কোনও কাজ নেই। কারণ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকে প্রায় কেউই বেড়াতে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। পর্যটন ব্যবসার হাল এখন খুবই খারাপ। করোনার জেরে গত বছরের মার্চ মাসের শেষ দিক থেকেই পর্যটন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ বছরের গোড়ার দিকে করোনা খানিকটা কমায় কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের পর্যটন ব্যবসার বেহাল দশা।
শহরের বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার কর্তারা জানাচ্ছেন, করোনার লেখচিত্র আবার নিম্নমুখী হবে বলেই তাঁদের আশা। এখন যেমন দেখা যাচ্ছে, মে মাসের তুলনায় জুনে সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। তাঁদের ধারণা, পুজোর সময়ে বা তার পরে শীতে করোনার প্রভাব অনেকটাই কমে যাবে। তাঁরা জানালেন, কোনও কোনও উৎসাহী মানুষ পুজো বা শীতের বুকিং নিয়ে ইতিমধ্যে খোঁজখবরও করছেন। খুব দূরে না-হলেও পুজোর সময়ে কাছাকাছি উইক-এন্ড টুরের খোঁজ নিচ্ছেন কেউ কেউ। আস্তে আস্তে বেড়াতে যাওয়া আবার শুরু হলে পর্যটন কর্মীদের কাজও বাড়বে। তাই তাঁদের সকলের যদি প্রতিষেধক নেওয়া থাকে, তা হলে পর্যটক ও পর্যটন কর্মী— দুই তরফই অনেকটা স্বস্তিতে থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy