রাজন্যা হালদার। ফাইল ছবি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজন্যা হালদারকে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করে দিলেন সোনাপুরের ওই তরুণী। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর কাছে স্মারলিপি জমা দিলেন রাজন্যারা। তাঁদের মূল দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর গাইডলাইন অনুযায়ী ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসাতে হবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রশ্ন তুলেছে, কেন যাদবপুরে ইউজিসি গাইডলাইন মানা হবে না। স্মারকলিপি দেওয়ার পর রাজন্যা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, ১০ দিনের মধ্যে যদি সিসিটিভি না বসানো হয়, তা হলে আমরা নিজেরা তা লাগানোর বন্দোবস্ত করব।’’ শুধু তাই নয়। স্মারকলিপিতে টিএমসিপি এ-ও লিখেছে, ক্যাম্পাসে, ক্লাসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের সামাজিক বয়কটের শিকার হতে হচ্ছে। এটাও এক ধরনের র্যাগিং। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়েও পদক্ষেপ করতে হবে।
রাজ্যের বাকি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপির দাপট থাকলেও যাদবপুরে সেই অর্থে কোনও কালেই জমি তৈরি করতে পারেনি তারা। ছাত্রমৃত্যুর পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেই খরা কাটাতে মরিয়া শাসকদল। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে নিজে উদ্যোগী হয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। সেই কারণেই রাজন্যাকে যাদবপুরের গুরুদায়িত্ব দিয়েছে দল। রাজন্যা নিজেও যাদবপুরের বিএড পড়ুয়া। সেই সঙ্গে অন্যত্র পিএইচডি-ও করছেন।
শনিবার যখন রাজন্যারা অরবিন্দ ভবনে পৌঁছন, তখন বাইরে বাম ছাত্রদের অবস্থান চলছিল। সেই সময়ে দু’পক্ষের স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন চত্বর। যদিও কোনও সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। বাম ছাত্রেরা তৃণমূলের বিরোধিতা করে সাফ জানিয়েছে, নিরাপত্তা আর নজরদারি এক জিনিস নয়। তারা নিরাপত্তা চান। কিন্তু সিসিটিভি নজরদারির বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy