সারিবদ্ধ: সেন্ট্রাল পার্কে খাবার নেওয়ার লাইনে সভায় যোগ দিতে আসা জনতার ভিড়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
কাল, শনিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। সেই উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার দিন যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে ভিড়। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, আলিপুরের উত্তীর্ণ-সহ একাধিক জায়গায় তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সল্টলেকের স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণে মূলত থাকছেন দিনাজপুর থেকে দার্জিলিং জেলার কর্মী-সমর্থকেরা। উত্তর কলকাতার কয়েকটি ধর্মশালায় রাখা হয়েছে অন্য জেলাগুলি থেকে আসা সমর্থকদের।
সর্বত্রই চোখে পড়েছে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা। এ দিন সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেল, বাস থেকে একে একে নামছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকেরা তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। পরিচিতি লিখে নেওয়ার পরে তাঁদের নির্দিষ্ট তাঁবুতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। সমর্থকদের দেখভালের জন্য স্বেচ্ছাসেবক ও নেতা-কর্মীদের নজরদারি যেমন রয়েছে, তেমনই আছেন পুলিশ ও বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীরাও। মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের ব্যবস্থা থাকছে। বিশেষ
জোর দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতায়। কলকাতা, শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনে মন্ত্রী এবং নেতা-নেত্রীদের নির্দিষ্ট ভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সল্টলেকের স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা। পেল্লায় তাঁবুতে থাকছে কম্বল, কার্পেট। দিনে তিন-চার বার খাওয়ার ব্যবস্থা। খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভাত, ডাল, আনাজ ও
ডিম। বলা হয়েছে, তাঁবুতে সিগারেট খাওয়া চলবে না। যত্রতত্র ফেলা যাবে না খাবার কিংবা আবর্জনা। প্রতিটি তাঁবুর বাইরে রয়েছে পর্যাপ্ত ভ্যাট ও পানীয় জলের ট্যাঙ্কার। মহিলা এবং পুরুষদের জন্য পৃথক শৌচাগার থাকছে। নিয়মিত সময় অন্তর গোটা জায়গা সাফ করা হচ্ছে।
এ দিন স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণে ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। কয়েকশো তৃণমূলকর্মী দিনভর দেখভালের কাজ করছেন সেখানে। পরে অভিষেক যান ‘উত্তীর্ণ’-এর ব্যবস্থাপনা দেখতে। দমকলমন্ত্রী জানান, মালদহ বাদে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলির কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে সল্টলেকে। কলকাতা, শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন থেকে বাসে করে তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy