আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে আবার মধ্যরাতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের মর্গে কয়েক জন মর্গকর্মীর মধ্যে বচসা বাধে। পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে হাসপাতালের কম্পিউটার-সহ বেশ কিছু জিনিস ভাঙা হয় বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের মর্গে কয়েক জন মর্গকর্মী ছিলেন। সে সময় অন্য এক জন আসেন সেখানে। অভিযোগ, মর্গে এসে তিনি নিজেকে ‘আন্তর্জাতিক মর্গকর্মী’ বলে দাবি করেন। সেখানে কাজ করবেন বলে জানাতেই শুরু হয় ঝামেলা। অন্য মর্গকর্মীরা আপত্তি তোলেন। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যায়। মর্গকর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করেন বলে অভিযোগ। ঝামেলার মাঝেই মর্গ এবং হাসপাতালের কম্পিউটার ভাঙা হয়। এমনকি, হাসপাতালের অন্যান্য সরকারি সম্পত্তিও ভাঙচুর করেন মর্গকর্মীরা। ঘটনার সময় অভিযুক্তেরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় আরজি করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। একই সঙ্গে টালা থানাতেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কী ঘটেছিল, ঘটনার সূত্রপাত কী ভাবে— সব কিছুই খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। হাসপাতালের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা ঘটনার অভিযোগ পেয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
আরও পড়ুন:
মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে আরজি কর। নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে সাধারণ মানুষেরা। ঘটনার প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গত ১৪ অগস্ট রাতে এমনই এক কর্মসূচি চলাকালীন একদল লোক আরজি করে ঢুকে ভাঙচুর চালান। সেই ঘটনার পরই আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কী ভাবে বৃহস্পতিবার রাতে আবার আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল।