অভিষেকের বাবার দায়ের করা মানহানির মামলায় শুভেন্দুকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ। — ফাইল ছবি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মানহানি মামলায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। একটি সভায় অমিতের সম্পত্তি নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন অভিষেকের বাবা। সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সশরীরে হাজিরা দিতে না চেয়ে আদালতে আবেদন করেন শুভেন্দু। কিন্তু আলিপুর আদালত সেই আবেদন খারিজ করে আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দুকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্রের খবর, এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন শুভেন্দু।
গত ২০ জুন সংবাদমাধ্যমের সামনে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, অমিত ১ হাজার কোটি টাকার মালিক। তাতেই আপত্তি অমিতের। তাঁর দাবি, শুভেন্দু অসত্য এবং মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। অমিতের আরও দাবি, এর আগে তিনি তাঁর আইনজীবী মারফত শুভেন্দুকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে নোটিস পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু সেই নোটিস অগ্রাহ্য করেছেন। এই অবস্থায় শুভেন্দুর ‘মিথ্যা’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমাজে তাঁর মানহানি হয়েছে। কারণ অমিতের দাবি, তাঁর পরিবারের অনেকে রাজনীতিতে থাকলেও তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন জগতের মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। শুভেন্দু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর মানহানি করেছেন, এই অভিযোগে তিনি আলিপুর মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। সেই মামলারই শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে সশরীরে হাজিরা দিতে না চেয়ে আবেদন করেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে আদালত শুভেন্দুকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্রের খবর, শুভেন্দু হাজিরা ঠেকাতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন।
বৃহস্পতিবারই শুভেন্দু তাঁর কাঁথির বাড়ির সামনে তৃণমূলের অভিষেকের সভার বিরোধিতা করে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, পরিবারের সদস্যদের হেনস্থার উদ্দেশেই শনিবার তাঁর বাড়ির (শান্তিকুঞ্জ) ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল সভা করছে। তাই তৃণমূলের সভার অনুমতি আদালত বাতিল করুক। কিন্তু আদালত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সভা আটকানো যায় না, জানিয়ে শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করে দেন। পাশাপাশি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, শুভেন্দু বা তাঁর বাবা শিশিরের অনুমতি ছাড়া কেউ যাতে তাঁর বাসভবনে ঢুকতে না পারেন তা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy