তৃণমূল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বড় মাপের কর্মসূচি নিতে চলেছে তৃণমূল। সোমবার দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চের সভায় হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই সভামঞ্চ থেকে দলের আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। রবিবার উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামে নতুন তৃণমূল ভবনের ভিতপুজোর অনুষ্ঠানে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘আগামী দিনে দল কী ভাবে চলবে, সে বিষয়ে নির্দেশ দেবেন দলনেত্রী। আমরা সেই নির্দেশ মেনে চলব।’’
সোমবারের বৈঠকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা সভাপতি, পুরসভার মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদ, দলের শাখা সংগঠনের প্রধান-সহ অন্য পদাধিকারীদের। সেই বৈঠকেই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করলেও এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে দলের নেতাদের কিছু জানানো হয়নি। যদিও শাসক দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কর্মসূচিতে আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের ৩ হাজার ৩০০ গ্রামে রাত্রিযাপন করবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সেই দলে থাকবেন সাংসদ, বিধায়ক ও তৃণমূলের নেতারা। আগামী পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি হিসাবে এই বিশেষ কর্মসূচি দলের তরফে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জমি তৈরিতেও সহায়ক হবে বলেও দাবি করেছেন তৃণমূলের এক রাজ্য নেতা। নতুন এই কর্মসূচির কী নাম হবে, তা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
আপাতত এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৩০০ জনকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি বিশেষ প্রতিনিধিদল। জানুয়ারি মাসে ১০ দিন ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ দিন করে চলবে এই কর্মসূচি। বিভিন্ন গ্রামে আলাদা করে এই রাত্রিযাপন করবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ১০ দিন করে এই কর্মসূচি রাখার কারণ, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক মাসব্যাপী কর্মসূচি রাখা হয়েছে দলের তরফে। তা ছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির সংসদে ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে যোগ দেবেন দলের সাংসদ, বিধায়করা। এই কর্মসূচি ১০ দিন চলবে, এমনটাই ঠিক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পর নিজেদের পরামর্শদাতা হিসাবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করে তৃণমূল। ওই বছরেই ২৯ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন মমতা। সেই কর্মসূচিতে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালুর পাশাপাশি, নেতাদের শহর, শহরতলি, গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা, থাকা এবং রাত্রিযাপন করতে বলা হয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে তৃণমূল। আরও অনেক বিষয়ের সঙ্গে সেই জয়ে এই কর্মসূচির প্রভাব ছিল বলেই মনে করা হয়। এ বার ভোটকুশলী প্রশান্ত না থাকলেও নিজ উদ্যোগেই একই ধাঁচের কর্মসূচি ঘোষণা করতে চলেছেন মমতা-অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy