নারকেলডাঙা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দলের নির্দেশ মেনে পাঁচ দিনের মাথায় উত্তর দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিংহ। রবিবার তৃণমূলের কাউন্সিলর দলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। শচীন বলেন, ‘‘ওই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে দলের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। দলকে পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ নারকেলডাঙার ঝুপড়িতে আগুন এবং শচীনকে ঘিরে এলাকার মানুষের ক্ষোভের ঘটনায় কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরকে শোকজ করেছিল তৃণমূল। শচীনের বক্তব্য, ‘‘দল তাঁকে শোকজ করেনি। বিষয়টি সম্পর্কে শুধু জানতে চেয়েছিল। তার উত্তর দেওয়া হয়েছে।’’
সম্প্রতি নারকেলডাঙার একটি এলাকায় আগুন লেগে অন্তত ৬০টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক জনের। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁকে ঘিরে দীর্ঘ ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাঁর কাছেও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নালিশ করেন অনেকে। শচীনের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ওই ক্ষোভের ফলে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। পুরসভা সূত্রে খবর, নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ড এবং শচীনকে ঘিরে এলাকার মানুষের অভিযোগে অসন্তুষ্ট খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন তিনি। তার পরেই গত বুধবার ওই কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন বাপ্পাদিত্য।
আরও পড়ুন:
বাপ্পাদিত্য জানান, এখনও পর্যন্ত ওই চিঠি পড়ে দেখা হয়নি। সোমবার পুরসভায় গিয়ে চিঠি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব। দলকেও বিষয়টি জানানো হবে। তৃণমূল কাউন্সিলদের একাংশ মনে করছেন, অগ্নিকাণ্ডের পরে ওই এলাকায় দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। অস্বস্তিতে পড়েই শচীনকে চিঠি দেয় দল। প্রসঙ্গত, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন শচীন এবং তাঁর অনুগামীরা। ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এই প্রথম নয়। এর আগেও উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের নেতাদের কাছে শচীনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল।