প্রতীকী ছবি
বসন্ত উৎসবের জন্য মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ব্যারাকপুরের অভ্যুদয় সঙ্ঘ এলাকা। বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই ঘটনায় দু’পক্ষের চার জন জখম হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মিলনকৃষ্ণ আশ। যদিও বর্তমানে তিনি বিজেপি-র নেতা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে তাঁরাই পদক্ষেপ করবেন। ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাসের অভিযোগ, বিজেপি-র লোকজন গায়ের জোরে মাঠ দখলের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
মিলনকৃষ্ণ আগে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু গত পুর ভোটে তিনি হেরে যান। লোকসভা ভোটের আগে ভাটপাড়ার তৎকালীন বিধায়ক অর্জুন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে মিলন তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যান।
কাউন্সিলর থাকাকালীন অভ্যুদয় সঙ্ঘের মাঠে বসন্ত উৎসব শুরু করেছিলেন মিলন। তৃণমূলের ব্যানারেই সেই উৎসব হত। এ বার তৃণমূল আগেভাগেই বসন্ত উৎসবের জন্য ব্যারাকপুর পুরসভা এবং টিটাগড় থানা থেকে অনুমতি নিয়ে রেখেছে। এ দিকে, মিলনের নেতৃত্বে বিজেপি-ও ওই মাঠে বসন্ত উৎসব করতে উদ্যোগী হয়। তারাও টিটাগড় থানায় আবেদন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন তৃণমূলের তরফে মাঠটি পরিষ্কার করা হচ্ছিল। সেই সময়ে মিলন দলবল নিয়ে সেই কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা, পরে সংঘর্ষ বাধে। হাতাহাতিতে জখম হন মিলন ও তাঁর দলের এক কর্মী। তৃণমূলেরও দুই কর্মী জখম হন। তাঁদের সবাইকেই বিএন বসু হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়।
অর্জুন হাসপাতালে মিলনকে দেখতে আসেন। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ ‘অ্যাকশন’ না নিলে আমরা ‘রিঅ্যাকশন’ দেব।’’ উত্তম বলেন, ‘‘বিজেপি গায়ের জোর ফলানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের সঙ্গে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy