উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ফাইল চিত্র।
এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার বাসের টিকিটের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে। ট্রেনের টিকিট চার মাস আগেই অপেক্ষার তালিকায় ঢুকেছে। পুজোয় রেলের তরফে ট্রেনের কোচ বাড়ানো ছাড়াও কিছু বিশেষ ট্রেন চালানো হয়। তবুও উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, যার প্রমাণ বেসরকারি এসি ও ভলভো বাসের টিকিটের আকাশচুম্বী দাম।
সূত্রের খবর, কলকাতা এবং শিলিগুড়ির মধ্যে চলা বেসরকারি এসি এবং ভলভো বাসের ভাড়া বছরের অন্য সময়ের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেড়েছে। পঞ্চমী এবং ষষ্ঠী থেকেই উত্তরবঙ্গগামী বাসের টিকিটের দাম অত্যধিক চড়া। ভলভো এসি স্লিপার শ্রেণির ভাড়া সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। সাধারণ পুশ ব্যাক আসন রয়েছে, এমন বেসরকারি বাতানুকূল বাসের ভাড়া সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। এই দাম বজায় থাকছে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।
এ দিকে চাহিদা অনুযায়ী বাস জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। তাদের ভাড়া নির্দিষ্ট। পুজোয় শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট-সহ বিভিন্ন রুটে বাস চালাবে নিগম। তবে তাদের ভলভো বাস নেই। একটিই বাতানুকূল। ফলে পর্যটকদের চাহিদা মোটে মেটাতে পারছে না পরিবহণ নিগম। এসি ভলভো শ্রেণির বাসের বিপুল জ্বালানি খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সামলে তা চালিয়ে সাফল্য পায়নি বলেও অভিযোগ।
বেসরকারি সংস্থাগুলির টিকিটের কেন এই চড়া দর? সংস্থাগুলির দাবি, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি এক বার যাতায়াতে ৪০-৪৫ হাজার টাকার তেল পোড়ে। পর্যটকদের সেই ভিড় কলকাতায় ফিরতে দিন দশেক পরে চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এ দিকের যাত্রীদের উত্তরবঙ্গ যাত্রার চাহিদা মেটাতে সেখান থেকে প্রায়ই খালি বাস দ্রুত নামিয়ে আনতে হয়। একাধিক ক্ষেত্রে অন্য রুটের বাসে বিশেষ পারমিট করিয়ে চালানো হয়। সেই সব খরচ তুলতেই ভাড়ায় সার্জ বসে, জানাচ্ছেন বাসমালিক সংগঠনের নেতৃত্ব। তবে তাই এগ্জিকিউটিভ বাসের ভাড়ায় সরকারি নিয়ন্ত্রণ চাইছেন যাত্রীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy