প্রতীকী ছবি।
সল্টলেক থেকে শুরু করে নিউ টাউন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মশার উপদ্রবে টিকতে পারছেন না বাসিন্দারা। মশার প্রকোপ কমাতে কী করণীয়, তা নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার পতঙ্গ বিশারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন হিডকো, এনকেডিএ এবং নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ।
হিডকো সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার পতঙ্গ বিশারদ দেবাশিস বিশ্বাসের সঙ্গে ওই বৈঠকে মূলত কোন কোন এলাকায় মশার দৌরাত্ম্য বেশি, তা উঠে এসেছে। কী ধরনের মশার উপদ্রব বাড়ছে, সেই সম্পর্কেও পর্যালোচনা হয়েছে। বৈঠক থেকে একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে খবর। সেই অনুযায়ী শুরু হয়েছে কাজ।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মশা মারার তেল ছড়ানো এবং ধোঁয়া দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন নির্মীয়মাণ প্রকল্প এলাকায় যাতে জল জমে না থাকে, তা দেখতে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে নজরদারি চালানো হবে। ইতিমধ্যে নিউ টাউনের তিনটি জায়গায় মশা নিয়ন্ত্রণে এক ধরনের যন্ত্র (মস্কুইটো ট্র্যাপ) বসানো হয়েছে। এ বার পাঁচ নম্বর সেক্টরেও দু’টি তেমন যন্ত্র বসানো হবে। পাশাপাশি, লার্ভা নিধনে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন হিডকোর এক কর্তা।
তবে সব চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে সচেতনতার প্রচারে। বাড়ির ভিতরে যাতে কোথাও জল না জমে, এলাকার কোথাও জল জমে থাকলে প্রশাসন যাতে দ্রুত খবর পায়, সেই সম্পর্কে সজাগ থাকতে আর্জি জানানো হয়েছে বাসিন্দাদের কাছে। জোর দেওয়া হয়েছে মশারি ব্যবহারের উপরে।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নিউ টাউনে বিভিন্ন নির্মীয়মাণ প্রকল্প এবং ফাঁকা প্লটে জল জমে থাকে। অন্য দিকে, নর্দমাগুলি ঠিক মতো সাফাই না হওয়ায় সেখান থেকেও মশা জন্মাচ্ছে। ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করার কাজ শুরু হলেও সর্বত্র তা হয়নি। এই বিষয়গুলি দেখা প্রয়োজন।
বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য মনে করছেন, তাপমাত্রার হেরফের হওয়ার জন্য মশার উৎপাত বেড়েছে। বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে অভিযান চলছে। খালগুলিতে জলের প্রবাহ বাড়িয়ে মশার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সল্টলেকের বিভিন্ন সংযুক্ত এলাকা-সহ রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় সচেতনতা প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy