রবিবার সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের দাবি মেনে নেন। ফাইল ছবি।
বাহাত্তর ঘণ্টা পরে, রবিবার অবস্থান-বিক্ষোভ প্রত্যাহার করলেন আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের ছাত্রীরা। এ দিন সকালে কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপার লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন, হাউসস্টাফশিপ শেষ হওয়া পর্যন্ত ওই ইন্টার্ন-তরুণীরা হস্টেলেই থাকতে পারবেন। এর পরেই বিক্ষোভ ও ঘেরাও তুলে নেন পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে আচমকা কলেজের অধ্যক্ষ মৌখিক নির্দেশ দেন, ইন্টার্নশিপ শেষ হয়ে যাওয়ায় ৩০ জন পড়ুয়াকে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল খালি করে দিতে হবে। এই নিয়ে ক্ষোভ ছড়ায় ওই পড়ুয়াদের মধ্যে। পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁরা অধ্যক্ষ ও সুপারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কোনও সুরাহা হয়নি। এর পরেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন ওই ৩০ জন পড়ুয়া। বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁদের মধ্যে দু’জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সারা দিন অচলাবস্থা চলে কলেজে। অধ্যক্ষ বা সুপার, কেউই সে দিন আসেননি। শনিবার সকালে তাঁরা-সহ অন্য বিভাগীয় প্রধানেরা এলে তাঁদের সকলকে ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। এক দিন ঘেরাও থাকার পরে, রবিবার সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের দাবি মেনে নেন।
এ দিন সকালে অধ্যক্ষ তপন গিরি পড়ুয়াদের ডেকে মৌখিক নির্দেশ প্রত্যাহারের কথা জানান। এর পরে তিনি লিখিত দেন। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, তাঁরা হাউসস্টাফ হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু হাউসস্টাফদের জন্য নির্দিষ্ট যে ঘর রয়েছে, সেগুলি ভর্তি। সেখানে যাঁরা আছেন, তাঁদের হাউসস্টাফশিপ শেষ হচ্ছে মার্চে।
এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘ইন্টার্নশিপ শেষ করে আমরা নতুন হাউসস্টাফ হয়েছি। তা হলে আমরা কোথায় থাকব? তার জন্যই হস্টেলে থাকতে দিতে বা কলেজের অন্যত্র বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সরাসরি বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন।’’ জানা গিয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ হস্টেলে থাকার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি যে সব মহিলা পড়ুয়া প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের দিকেও লক্ষ রাখার জন্য সদ্য হাউসস্টাফ হওয়া পড়ুয়াদের বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy