—প্রতীকী চিত্র।
আগরপাড়ার তারাপুকুর রোডে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। ধৃতেরা স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃত তিন জনের নাম গণেশ দীক্ষিত, দীপক চৌধুরী এবং সোহেল আখতার। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, যুবকের শরীরে একাধিক আঘাত রয়েছে। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেই অনুমান।
বুধবার ভোরে তারাপুকুর রোডে রাস্তার ধারে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন ওই যুবক। তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে খড়দহের বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতের নাম সুমন মাইতি (২১)। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাস্থলের কাছে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। তবে তদন্তে নেমে স্থানীয় সূত্র থেকে বেশ কিছু তথ্য পায় পুলিশ। যার ভিত্তিতে তিন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় পরে গ্রেফতার করা হয়।
সুমনের পাড়ার অনেকেই জানিয়েছেন, চুরি, ছিনতাই-সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সে সবের জন্য আগেও মার খেয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাস্তা দিয়ে ভোরে আনাজ-সহ বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি যায়। পুলিশের অনুমান, ভোরে সুমন তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে সেখানে হাজির হন। স্থানীয়দের অনেকেই তাঁদের দেখে চোর সন্দেহে ধরার চেষ্টা করেন। বাকিরা পালিয়ে গেলেও সুমন ধরা পড়ে যান।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি পানিহাটি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। অনুমান, বুধবার ভোরে তেমনই কিছুর আশঙ্কা থেকে মারধর করা হয় সুমনকে। ওই দিন ভোরে ঠিক কী ঘটেছিল এবং সেখানে ওই তিন ব্যক্তির ভূমিকা কী ছিল, সেই তথ্য পেতে তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy