গার্ডগুলির সার্জেন্টদের হাতে রয়েছে টাকা মেটানোর যন্ত্র (ইপস মেশিন)। প্রতীকী ছবি।
ট্র্যাফিক আইন ভেঙে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে এ বার ইউপিআই পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে মেটানো যাবে স্পট ফাইন। গত শুক্রবার থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের চারটি গার্ডের সার্জেন্টরা ওই অ্যাপের মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকে জরিমানা নেওয়া শুরু করেছেন।
লালবাজার সূত্রের খবর, জোড়াবাগান, হাওড়া ব্রিজ, সাউথ ও হেড কোয়ার্টার ট্র্যাফিক গার্ডে এখন এনআইসি ই-চালান চালু রয়েছে। ওই গার্ডগুলির সার্জেন্টদের হাতে রয়েছে টাকা মেটানোর যন্ত্র (ইপস মেশিন)। যার মাধ্যমে এনআইসি ই-চালান দিয়ে ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ চাইলে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে স্পট ফাইন দিতে পারেন। তবে নেটওয়ার্কের সমস্যায় কিছু ঝক্কি হচ্ছে।
সেটা দূর করতেই ইউপিআই পেমেন্ট অ্যাপে স্পট ফাইন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ইপস মেশিনে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই অভিযুক্তের অ্যাকাউন্ট থেকে সরকারি তহবিলে চলে যাবে জরিমানার টাকা।কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, কয়েক দিনের মধ্যে ইপস মেশিন বাকি ট্র্যাফিক গার্ডকে দেওয়া হবে। যাতে এনআইসি ই-চালানের মাধ্যমে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা নেওয়া যায়।
কেন অনলাইনে স্পট ফাইন জমা নিতে চাইছে লালবাজার? ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, সার্জেন্টরা স্পট ফাইন বাবদ সংগৃহীত টাকা গার্ডে জমা করেন। সেই টাকা পাঠানো হয় ব্যাঙ্কে। পুরো ব্যবস্থায় ঝক্কি যেমন রয়েছে, নয়ছয়ের আশঙ্কাও থাকে। কয়েক বছর আগে কয়েকটি গার্ডের বিরুদ্ধে স্পট ফাইন জমা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। তাই টাকার ব্যবহার কমাতে এই তৎপরতা। আইনভঙ্গকারী অধিকাংশ গাড়িচালক বা মালিক ঘটনাস্থল থেকে অনলাইনে টাকা জমা করতে চান। এতে অনিয়ম অনেকটাই কমবে বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy