—ফাইল চিত্র।
আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার কাজ। প্রথম দফায় ভাঙা হবে রাজাকাটরার সামনে থেকে পোস্তা বাজার পর্যন্ত স্ট্র্যান্ড রোডের উপরে থাকা অংশ। ওই কাজের জন্য দেড় মাস সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে স্ট্র্যান্ড রোড এবং পোস্তার ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। আর তা করতে গিয়ে বড়বাজার এবং পোস্তা এলাকায় যানজট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ মহল। কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েও গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখা যায়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের কাছে।
যানজট যাতে না হয়, তার জন্য একাধিক পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পোস্তা বাজারে লরি বা পণ্যবাহী যানবাহন যাতে সহজে ঢুকতে পারে, তার জন্যও বিকল্প পথের ব্যবস্থা করছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, স্ট্র্যান্ড রোডের পোস্তা বাজার অংশে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলে হাওড়া সেতু বা স্ট্র্যান্ড রোড ধরে আশা পোস্তামুখী ছোট গাড়ি রাজাকাটরার পিছনের মিরবাহার ঘাট স্ট্রিট দিয়ে ঘুরিয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ রোড হয়ে ওই সমস্ত গাড়ি নির্দিষ্ট পথ ধরে নেবে। এর জন্য ওই রাস্তায় আপাতত পার্কিং বন্ধ রাখা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, পণ্য নিয়ে আসা লরি বা ট্রাক দিনের বেলায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, বিডন স্ট্রিট, নিমতলা ঘাট রোড হয়ে পোস্তা বাজারে যেতে পারবে। রাতে ওই রাস্তা দিয়েই পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করবে। প্রতিটি গাড়িকেই অবশ্য কিছুটা ঘুরে আসতে হবে। তবে বিকল্প রাস্তাও ভেবে রেখেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, গাড়ির চাপ কম থাকলে লরি বা ট্রাকগুলিকে মিরবাহার ঘাট স্ট্রিট দিয়ে পাঠানো হতে পারে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে সে দিন রাস্তার কী অবস্থা, তার উপরে।
আগামী ১৫ জুন থেকে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার কাজ শুরু হবে। মোট চার দফায় ওই কাজ করা হবে। প্রথম দফায় রাজাকাটরার সামনে থেকে পোস্তা মোড় পর্যন্ত কাজ চলবে ৪৫ দিন ধরে। দ্বিতীয় দফায় কাজ হওয়ার কথা গণেশ টকিজ় থেকে গিরিশ পার্ক মোড় পর্যন্ত। ওই পর্যায়ের জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে ৩০ দিন। এর পরে পোস্তা মোড় থেকে গণেশ টকিজ় পর্যন্ত ভাঙার কাজ শুরু হবে। চতুর্থ দফায় পোস্তা মোড় ও কলাকার স্ট্রিটের মোড়ের অংশে কাজ হবে। তবে সেই কাজ কবে হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
পুলিশের এক কর্তা জানান, তাঁরা পুরসভার সঙ্গে কথা বলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন চালানোর পরিকল্পনা করেছেন। এর জন্য মিরবাহার ঘাট স্ট্রিটের একাংশের পার্কিং সরানো হবে। সেই পার্কিংয়ের বিকল্প জায়গা কোথায় দেওয়া হবে, তা ঠিক হয়নি।
পুলিশের মতে, প্রশাসনিক বিধিনিষেধের মধ্যে ভাঙাভাঙির এই কাজ হলে তেমন সমস্যা হত না। কিন্তু সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পরে এই কাজ শুরু হলে মহাত্মা গাঁধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোড-সহ একাধিক রাস্তায় গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং গাড়ির গতি বাধা পাবে। সব কিছুকে সামলে যান চলাচল সচল রাখাই তখন পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy