—প্রতীকী ছবি।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্স নিয়ে পড়ার আগ্রহ বাড়ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। তাই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ওই দুই বিষয় পড়াতে স্কুলগুলির উৎসাহও ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যে ১৫০টিরও বেশি স্কুল এই দুই বিষয়ে পড়ানোর জন্য আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব তাপস মুখোপাধ্যায়। স্কুলে ওই দু’টি বিষয় যাঁরা পড়াবেন, সেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এর জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষকদের ৭৫ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেবে যাদবপুরের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ। খুব শীঘ্রই এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে।’’
চলতি বছরেই স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্স বিষয় দু’টি চালু হয়েছে। চিরঞ্জীব বলেন, ‘‘এই দু’টি বিষয়ে পড়ুয়াদের যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫০টির মতো স্কুল এই বিষয় দু’টি পড়ানোর জন্য আগ্রহ দেখিয়ে সংসদের কাছে আবেদন করেছে। আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখে আবেদন মঞ্জুর করছি। আগামী দিনে এই দু’টি বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা করে কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে ওই দু’টি বিষয়ের পাঠ্যক্রমও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকাশকেরা সেই পাঠ্যক্রম দেখে বই তৈরি করেছেন। সিবিএসই পাঠ্যক্রমে ইতিমধ্যেই এই দু’টি বিষয় রয়েছে। তাপস বলেন, ‘‘স্কুলগুলির যে রকম উৎসাহ দেখছি, তাতে এক দিনে সব শিক্ষককে বোধহয় প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে কয়েক দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য, যোধপুর পার্ক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানালেন, তাঁরা তাঁদের স্কুলে ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পড়ানোর অনুমতি পেয়েছেন সংসদের থেকে। অমিত বলেন, ‘‘আগামী দিনে এই বিষয় নিয়ে কাজের সুযোগ বেশি বলে অনেক পড়ুয়াই এই দু’টি বিষয় নিয়ে পড়তে উৎসাহ দেখাচ্ছে।’’
তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর মতে, ‘‘ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে হেতু জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত, তাই একে বৃত্তিমূলক বিষয় হিসেবে দেখা হোক। এই দুই বিষয় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে পাঠরত পড়ুয়ারাই নয়, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়ারাও যাতে নিতে পারে, তার জন্য আবেদন করছি।’’ প্রশ্ন উঠতে পারে, ডেটা সায়েন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অন্যেরা কী ভাবে পড়বে? সৌগতের মতে, ‘‘হেল্থ সায়েন্স বা তথ্যপ্রযুক্তির মতো বিষয় তো কলা বিভাগের পড়ুয়ারাও নিচ্ছে। তা হলে ডেটা সায়েন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন তারা নিতে পারবে না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy