প্রতীকী চিত্র
বইমেলা শুরু হয়েছিল জানুয়ারি মাসের শেষে। তাই তখন তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়নি। কিন্তু নতুন মাস শুরু হতে মেলায় বিক্রিবাটাও বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে সঙ্গেই মেলায় আনাগোনা বাড়তে শুরু করে তাদেরও। তবে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ।
গত সাত দিনে বইমেলার ভিতর ও বাইরে থেকে মোট ৩৫ জন পকেটমারকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। তার মধ্যে সোমবার সর্বোচ্চ ১৩ জনকে ধরা হয়েছে। গত বারের তুলনায় পকেটমার গ্রেফতারির সংখ্যা এ বার বেড়েছে বলেই দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানায়, মল্লিকবাজার থেকে শুরু করে কলকাতার বিভিন্ন এলাকার গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ওই পকেটমারেরা। বইপ্রেমীদের মতে মাসের শুরুতে হাতে সবারই টাকা থাকে। তাই পকেটমারেরা তৎপর হবেই। ফলে বইপ্রেমীদের প্রস্তাব, সমস্যা সমাধানে মেলায় নেটওয়ার্ক উন্নত করে কার্ডের মাধ্যমেই বিক্রিবাটা করা হোক।
বইমেলা কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল এ বার মেলা চত্বরে নেটওয়ার্কের সমস্যা মেটাতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে তেমন সুবিধা হচ্ছে না বলেই অনেকে জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, মেলায় ভিড় হাল্কা থাকলে কিছুটা নেটওয়ার্কের সংযোগ থাকে। কিন্তু ভিড় বাড়তে শুরু করলেই নেটওয়ার্কের সমস্যা হচ্ছে। ফলে বই কিনতে নগদ টাকা সঙ্গে রাখতেই হচ্ছে।মেলায় এসে বহু মানুষকে এটিএম থেকে টাকা তুলতেও খেয়াল করছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, বইমেলা উপলক্ষ্যে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে কয়েকটি জেলার কয়েকটি গ্যাং সক্রিয় হয়েছে। সেই অনুসারে সাদা পোশাকে পুলিশ সর্বদা মেলার ভিতর ও বাইরে নজর রাখছে। উপরন্তু গ্যাংগুলি সম্পর্কে তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। মেলার প্রথম কয়েক দিনে চার-পাঁচ জন পকেটমার ধরা পড়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কারও মোবাইল, ব্যাগ কিংবা টাকা চুরির কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy