প্রতীকী ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম বলছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি থাকবে। প্রতি বছর তা পুনর্গঠন করতে হবে। কিন্তু সূত্রের খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত দিন খাতায়কলমে অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি থাকলেও তেমন কার্যকারিতা ছিল না। বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটের বৈঠকে নতুন করে ওই কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কমিটিতে স্থায়ী সদস্য হিসেবে আছেন উপাচার্য, দুই সহ-উপাচার্য, প্রতিটি বিভাগের ডিন এবং রেজিস্ট্রার। ভবিষ্যতে যে বিভাগে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠবে সেই বিভাগ থেকে এক জন করে শিক্ষক প্রতিনিধিকে কমিটিতে নেওয়া হবে।
কয়েক সপ্তাহ আগে নিউ ল’ কলেজ হস্টেলের পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছিলেন, উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা তাঁদের র্যাগিং ও যৌন হেনস্থা করেছেন। প্রতিবাদে প্রায় দু’দিন কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থান করেন নিগৃহীতেরা। তদন্ত কমিটি গঠন করেন কর্তৃপক্ষ। এ দিন উপাচার্যকে সেই রিপোর্ট দেওয়া হয়।
সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানান, কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত পদক্ষেপ করতেই পারেন। কিন্তু র্যাগিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির। এর পরেই সিদ্ধান্ত হয়, নিউ ল’ কলেজ হস্টেলের তদন্ত-রিপোর্ট জমা দিতে হবে নতুন করে তৈরি হওয়া এই কমিটিতে।
এ ছাড়া, গৃহশিক্ষকতা-সহ বিভিন্ন অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বাংলার বিভাগীয় প্রধানকে। কলা বিভাগের ডিনকে সেই পদে বসিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে বলেছিল সিন্ডিকেট। কিন্তু সময় পেরোলেও তদন্ত শেষ হয়নি। এ দিন তদন্তের সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়েছে সিন্ডিকেট। এ ছাড়া, যে সব কলেজ বাড়তি পড়ুয়া ভর্তি করেছে, তাদের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
পাশাপাশি, সংস্কৃতে গবেষণা করার তালিকা ঘিরেও অভিযোগ উঠেছিল, তা থেকে অন্যায় ভাবে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী সহ আট জনের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের এক সদস্য এ দিন জানান, বিধি মেনেই সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy