—প্রতীকী ছবি।
বরাহনগর বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরে এখন জল্পনায় বিদ্ধ খোদ শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই। প্রকাশ্যে না হলেও, পরোক্ষ ভাবে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁদের নিজেদের মধ্যে। তবে, বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এ বার প্রাচীন ওই জনপদের বিধায়ক হোন স্থানীয় কেউ। আর যদি একান্তই শাসকদল নিজেদের দলীয় কোন্দল ঢাকতে বহিরাগত কাউকে প্রার্থী করে, তা হলে তাঁকে যেন ২৪ ঘণ্টা এলাকায় পাওয়া যায়। যদিও শাসকদল সূত্রের খবর, এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের পছন্দের কাউকে প্রার্থী করে আর কয়েক দিনের মধ্যে নাম ঘোষণা করবেন বলেই খবর।
লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বরাহনগরের তিন বারের বিধায়ক তাপস রায়। তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় ওই আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। তার পর থেকেই বরাহনগরের পাড়ার মোড়ে মোড়ে, রাস্তাঘাটে একটাই আলোচনা, ‘তাপসের জায়গায় এ বার কে আসবেন?’ ভূমিপুত্রের বিষয়টিতে জোর দিয়ে ভোট ঘোষণার পর থেকেই বরাহনগর পুরসভার বেশ কয়েক জন পুরপ্রতিনিধি আশায় বুক বেঁধে কলকাতায় যাতায়াত বাড়িয়েছেন বলে খবর। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন চেয়ারম্যান পারিষদ সদস্যও রয়েছেন। কিন্তু কে শেষ পর্যন্ত ছক্কা হাঁকাবেন, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তাঁরাই।
রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, ১৯৭২ সালে একমাত্র বরাহনগরের স্থানীয় এক জন বিধায়ক হয়েছিলেন। বরাহনগর নেতাজি কলোনির বাসিন্দা, তৎকালীন কংগ্রেস ও সিপিআইয়ের জোট প্রার্থী শিবপদ ভট্টাচার্য হারিয়ে ছিলেন জ্যোতি বসুকে। ওই প্রথম এবং শেষ স্থানীয় কেউ বিধায়ক হয়েছিলেন বরাহনগর থেকে। ১৯৭৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বরাহনগর ছিল আরএসপির দখলে। সেই সময়কালের দু’জন বিধায়ক এবং ২০১১ থেকে কিছু দিন আগে পর্যন্তও তৃণমূলের যিনি বিধায়ক ছিলেন, তাঁরা কেউই স্থানীয় বাসিন্দা নন। তাই এ বার ভূমিপুত্রে জোর দিচ্ছেনশাসকদলের স্থানীয় নেতারা। সে কারণেই ঘন ঘন রাজ্য স্তরের নেতাদের কাছে যেমন অনেকে ছুটছেন, তেমনই আবার সাংস্কৃতিক জগতের লোকজনকে ধরেও অনেকে শীর্ষ নেতৃত্বের সুনজরে আসতে চাইছেন বলে খবর।
কিন্তু এ বার লোকসভা ভোটে টিকিট না পাওয়া বেশ কয়েক জনকে অন্য সুযোগ দেওয়ার কথা বলে রেখেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখান থেকে কাউকে বরাহনগরে প্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়েও জনমানসে প্রশ্ন উঁকি মারছে। পাশাপাশি বহিরাগতদের তালিকায় প্রাক্তন মন্ত্রী, সাংসদ, চিকিৎসকদের নাম নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে বরাহনগরে এ বার বহিরাগত প্রার্থীকে স্থানীয় স্তরের নেতারা কতটা গ্রহণ করবেন, তা নিয়েও দলীয় স্তরে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। যদিও এক দাপুটে নেতা বলছেন, ‘‘ভূমিপুত্রই হোন বা বহিরাগত, দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে হবে, সেটাই আমাদের সকলের লক্ষ্য।’’
হাজারো জল্পনা উস্কে দিয়ে আপাতত বরাহনগরের আকাশে-বাতাসে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন, ‘এ বারের উপনির্বাচনে বিধায়ক পদে শাসকদলের প্রার্থী তবে কে?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy