আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনকারীদের কার্যত সতর্ক করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনকারীদের কার্যত সতর্ক করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, আন্দোলনের জন্য হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত করা যাবে না। রোগীদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে।
এ দিন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানান, কোনও ভাবে পরিষেবা বিঘ্নিত হলে তার দায় আন্দোলনকারীদেরই নিতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। হাই কোর্ট সূত্রের খবর, এ দিন আন্দোলনের পদ্ধতি এবং আন্দোলনকারীদের ব্যবহার নিয়ে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য। সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানান, আন্দোলনকারীরা অশালীন শব্দ ব্যবহার করছেন এবং হাসপাতাল চত্বর সাইলেন্স জ়োন হওয়া সত্ত্বেও মাইক বাজাচ্ছেন।
যদিও এ দিন আদালতের নির্দেশের বিষয়ে তাঁরা তেমন কিছু জানেন না বলেই দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁদের দাবি, অনশন মঞ্চ তুলে নেওয়া হয়েছে। মঞ্চ বেঁধে বা সভা করে কোনও আন্দোলন করা হচ্ছে না। এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে সকলেই ব্যস্ত রয়েছি। তাই এখন অনশন তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অধ্যক্ষের পদত্যাগ বা বদলির দাবিতে অনড় থেকে আমরা নিজেদের মধ্যেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে না।’’
ছাত্র সংসদ তৈরি, হস্টেল কমিটি গঠন, হস্টেলের পরিকাঠামোর উন্নয়ন-সহ একাধিক দাবিতে গত অগস্ট থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন আর জি করের পড়ুয়া-চিকিৎসকদের একাংশ। বার বার আলোচনা করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ দুর্ব্যবহার করেছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এবং সেই দাবিতেই শুরু হয়েছিল অনশন। আন্দোলন-অনশনে অংশ নিয়েছিলেন পিজিটি এবং ইন্টার্নরাও। সব মিলিয়ে হাসপাতালের পরিষেবা চূড়ান্ত ভাবে বিঘ্নিত হতে শুরু করে।
সমস্যার সমাধানে হাসপাতালের প্রবীণ কয়েক জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেন্টর কমিটি তৈরি করে দেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। অক্টোবরে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি।
গত ২৫ অক্টোবর সেই মামলার শুনানিতে আদালতকে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা স্বাস্থ্য সচিবের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে চান। সেই মতো ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আলোচনার ব্যবস্থা করে দেয় আদালত। কিন্তু সেখানেও পড়ুয়ারা দাবি তোলেন, অধ্যক্ষকে বদলি করতে হবে। যদিও সেই কথায় আমল দেননি স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে পরিষেবা সচল রাখতে ইন্টার্ন এবং পিজিটি-রা একে একে কাজে যোগ দেন। গত ৩ নভেম্বর, অনশনের ৩১তম দিনে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, তাঁরা অনশন তুলে নিলেও অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy