প্রতীকী ছবি।
ছ’টি বাইকে সওয়ার প্রায় ১২-১৫ জন। কারও হাতে লাঠি, কারও হাতে উইকেট। কেউ আবার হকি স্টিক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এলাকা। সঙ্গে হুমকি, ‘‘কার বেশি সাহস বেরিয়ে আয়। কার বিয়েতে ঝামেলা করেছিস জানিস না। বেরিয়ে না এলে সব বাড়ি-ঘর ভেঙে দেব। পুলিশও কিছু করতে পারবে না।’’
রবিবার দুপুরে এই চিত্রই দেখা গেল পার্ক সার্কাসের সামসুল হুদা রোডে। বাইকে সওয়ারদের থামাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে স্থানীয়দের গন্ডগোল বাধে। লাঠি, উইকেট দিয়ে দু’পক্ষের মারামারির মধ্যেই কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। থামাতে গেলে আক্রান্ত হন এক বৃদ্ধও। খবর পেয়ে কড়েয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আশপাশের থানা থেকেও পুলিশ যায়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক জনকে আটক করা হলেও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে থানা সূত্রের খবর। এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত থমথমে ছিল ওই এলাকার পরিস্থিতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিনের ঝামেলার শুরু শনিবার রাতে। কড়েয়ার ঘাসবাগান এলাকার একটি বাড়িতে ওই রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই বিয়েবাড়ির নীচে রাতে প্রকাশ্যে মদ্যপানের অভিযোগ ওঠে। অনুষ্ঠান-বাড়ির লোকজন প্রতিবাদ করলে মত্ত যুবকদের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। বিয়েবাড়িতে আসা স্থানীয় ডোমপাড়ার কয়েক জনকে সে সময়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতে তাঁরা ফিরে গেলেও এ দিন দুপুরে দলবল নিয়ে ফের এলাকায় চড়াও হন। তার পরেই নতুন করে শুরু হয় গোলমাল।
রফিক খান নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা দাবি করেছেন, ‘‘যাঁরা এ দিন হামলা চালিয়েছেন, তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। রাতে কারা ঝামেলা করেছে জানি না। আমাদের কিছু হয়ে যেতে পারত।’’ স্থানীয় আর এক বাসিন্দার আবার প্রশ্ন, ‘‘পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েক জনকে ধরেও ছেড়ে দিল কেন?’’ কড়েয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘দু’টো পাড়ার মধ্যে একটা গোলমাল হয়েছিল। আমরা পরিস্থিতি সামলে দিয়েছি। এর বেশি কিছু নেই।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy