Advertisement
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
Kolkata Weather

নববর্ষের আগেই চল্লিশের তাপে পুড়তে পারে শহর

গরম এ বছর কেমন রূপ নেবে, তা গত দিন দুয়েক ধরেই মালুম হচ্ছে। সকাল থেকেই রোদের তেজবাড়ছে। ভরদুপুরে রীতিমতো চোখেমুখে জ্বালা হচ্ছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় ঘামের অস্বস্তি অবশ্য ততটা নেই।

আড়াল: চৈত্রের শেষে তাপমাত্রার পারদ চড়তেই কাপড়ে মুখ ঢেকে রাস্তায় পথচারী। বৃহস্পতিবার, কালীঘাট এলাকায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

আড়াল: চৈত্রের শেষে তাপমাত্রার পারদ চড়তেই কাপড়ে মুখ ঢেকে রাস্তায় পথচারী। বৃহস্পতিবার, কালীঘাট এলাকায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৩৩
Share: Save:

এ বার গ্রীষ্মে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বেশির ভাগ জেলাই যে তেতেপুড়ে উঠবে সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল মৌসম ভবন। বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চৈত্রের শেষেই সেই দহনজ্বালা টের পেতে পারে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বহু জেলা। তাপমাত্রা বাড়বে উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যেতে পারে। এই পূর্বাভাসের জেরে অনেকেই বলছেন, বাঙালির নতুন বছরের সূচনা আবহাওয়ার দিক থেকে স্বস্তিদায়ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনবলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার এক দফা তাপমাত্রা বাড়বে। সোমবার থেকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়বে। তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও থাকছে। তবে কোথায় কোথায় তাপপ্রবাহ হবে তা এত আগেই বলা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেই পূর্বাভাস দেওয়া হবে।’’

গরম এ বছর কেমন রূপ নেবে, তা গত দিন দুয়েক ধরেই মালুম হচ্ছে। সকাল থেকেই রোদের তেজবাড়ছে। ভরদুপুরে রীতিমতো চোখেমুখে জ্বালা হচ্ছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় ঘামের অস্বস্তি অবশ্য ততটা নেই। গরমের জ্বালা থেকে বাঁচতে অনেকেই রুমাল বা ওড়নায় মুখ ঢেকে পথেবেরোচ্ছেন। তেষ্টার জ্বালা মেটাতে পথেঘাটে ঠান্ডা শরবত বা লস্যিতে গলা ভেজাচ্ছেন লোকজন। আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতা এবং শহরতলি দমদমের তাপমাত্রা (৩৬.৫ ডিগ্রিসেলসিয়াস) ছাপিয়ে গিয়েছে পুরুলিয়াকে (৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। তবে বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে অবশ্য তাপমাত্রার দাপট আরও বেশি বলেই খবর। বীরভূমের শ্রীনিকেতনে এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৩৭ ডিগ্রি। এদের ছাপিয়ে ৩৮.৩ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে বাঁকুড়ার তাপমাত্রা।

তীব্র গরমের থেকে সাময়িক রেহাই পেতে মানুষের ভরসা কালবৈশাখী। বস্তুত, গত সপ্তাহে সেই পরিস্থিতি ছিল। তার জেরে স্বস্তিও মিলেছিল। কিন্তু আবহবিদদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, আপাতত তেমন সম্ভাবনা নেই। তার অন্যতম কারণ, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম। বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়লে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখন অনেকের প্রশ্ন, চৈত্রের শেষে না-হোক, নতুন বছরে কি ঝড়বৃষ্টির স্বস্তি মিলবে?

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Weather summer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy