প্রতীকী ছবি।
কালীপুজোর রাতেই শব্দবাজিতে প্রাণ গিয়েছিল দু’জনের। তার পরেও প্রশাসনের যে হুঁশ ফেরেনি, তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার রাতে, কালীঘাট থানা এলাকার দু’টি ঘটনায়। একটি ঘটনায় চকলেট বোমা ফাটাতে গিয়ে উড়ে গেল এক কিশোরের হাত। অন্য ঘটনায় তুবড়ি ফেটে মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক প্রৌঢ়।
পুলিশ সূত্রের খবর, কালীঘাট থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে কালীঘাট মন্দিরের কাছেই চকলেট বোমা ফাটাতে গিয়ে বাঁ হাতে গুরুতর চোট পায় বছর ষোলোর বাবুসোনা নায়েক। তাকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। বুধবার সকালে অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকেরা বাবুসোনার বাঁ হাতের একাংশ বাদ দেন। অন্য দিকে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ময়ূরভঞ্জ রোড পার হচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ভবতোষ রায়চৌধুরী (৫৮)। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একটি তুবড়ি ফেটে গিয়ে খোলটি তাঁর মাথায় এসে লাগে। মাথা থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। তিনিও এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। কালীপুজোর রাতেই তুবড়ি ফেটে প্রাণ গিয়েছিল বেহালার এক শিশুর। শব্দবাজিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন কসবার এক বাসিন্দাও। প্রশ্ন উঠেছে, দু’টি মর্মান্তিক ঘটনার পরেও নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটকাতে পুলিশ কেন কড়া হল না?
বাবুসোনা যে চকলেট বোমা ফাটাচ্ছিল, তা সে স্বীকার করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, চকলেট বোমা ফাটছে জেনেও কালীঘাট থানার পুলিশ সক্রিয় হয়নি কেন? ময়ূরভঞ্জ রোডের ক্ষেত্রেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদ বলেন, ‘‘ময়ূরভঞ্জ রোডে প্রৌঢ় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। অন্য দিকে, চকলেট বোমা ফাটাতে গিয়ে আহত হয়েছে ওই কিশোর। সে সুস্থ হয়ে ফিরলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। যেখান থেকে সে বাজি কিনেছিল, সেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy