Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Death

বচসার মধ্যেই বুকে লাথি, মৃত্যু কিশোরের

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে অনুমান, সোনুর বুকে আঘাত লাগে। তা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঘেরা রয়েছে ঘটনাস্থল। সোমবার, ডোভার টেরেসে। নিজস্ব চিত্র

ঘেরা রয়েছে ঘটনাস্থল। সোমবার, ডোভার টেরেসে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৩০
Share: Save:

খেলার জিনিস নিয়ে দুই কিশোরের মধ্যে বচসা। সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তার মধ্যেই এক জনের বুক লক্ষ্য করে অপর জন লাথি মারে বলে অভিযোগ। তার পরেই অজ্ঞান হয়ে যায় বছর চোদ্দোর সোনু চক্রবর্তী। পরে হাসপাতালে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সোমবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে গড়িয়াহাট থানার ডোভার টেরেস এলাকায়।

পুলিশ সূত্রের খবর, ডোভার টেরেসের একটি বস্তিতে থাকত সোনু। অভিযুক্ত বছর সতেরোর কিশোর সোমেন (নাম পরিবর্তিত) তার প্রতিবেশী। সোমবার বেলার দিকে সোনু বাড়ির কাছে বসে অ্যাকোয়ারিয়াম সাজানোর এক ধরনের পুটিং নিয়ে খেলছিল। সোমেন তার আশপাশেই ছিল। সেই সময়ে সোনুর এক বন্ধু সেখান দিয়ে যাওয়ার সময়ে পুটিংটি চায়। কিন্তু সোনু সেটি দিতে রাজি হয়নি। এর পরে তার বন্ধু চলে যায়, কিন্তু তাদের কথোপকথন শুনে সোনুর কাছে হাজির হয় সোমেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোনু কেন পুটিংটি তার বন্ধুকে দিল না, এই নিয়ে সোমেন চোটপাট শুরু করে। অভিযোগ, তখন সোনুও পাল্টা কিছু অশ্রাব্য কথা বলে। এতে আরও রেগে গিয়ে সোমেন সোনুর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে কিল, চড় মারতে থাকে। সোনুও পাল্টা মারতে থাকে। পাড়ার দুই কিশোরকে হাতাহাতি করতে দেখে ছুটে আসেন অনেকেই। তাঁরা দু’জনকে ছাড়াতে চেষ্টা করেন। তবে অভিযোগ, এর মধ্যেই সোমেন সোনুকে লক্ষ্য করে লাথি মারে। বুকে লাথি লাগলে সঙ্গে সঙ্গে সোনু অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ গিয়ে সোনুকে উদ্ধার করে। তাকে শরৎ বসু রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে অনুমান, সোনুর বুকে আঘাত লাগে। তা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে ঠিক কী হয়েছিল। এ দিকে ঘটনার পরেই পুলিশ সোমেনকে আটক করে। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের নির্দেশে তাকে একটি হোমে পাঠানো হয়েছে। সে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের একটি সরকারি স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সোনুর এক দাদা রয়েছে। সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের একটি চায়ের দোকানে কাজ করত কিছু দিন। সোনুর এ ভাবে মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার মা-বাবা-সহ বাড়ির সকলেই। এ দিন সোমেন কেন এ ভাবে সোনুকে আক্রমণ করল, তা বুঝতে পারছেন না ওই বস্তির বাসিন্দারা।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Teenager
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy