ফাইল চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মিশ্র পদ্ধতিতে (ব্লেন্ডেড মোড) পঠনপাঠনের যে খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে, তার বিরোধিতা করল রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।
রবিবার এই বিষয়ে ইউজিসিকে মতামত জানানোর শেষ দিন ছিল। মিশ্র পদ্ধতিতে পঠনপাঠনের বিরোধিতা করে এ দিন ইউজিসিকে চিঠি দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা), সারা বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (আবুটা) এবং অল ইণ্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটি। সংগঠনগুলির বক্তব্য, মিশ্র পদ্ধতিতে পঠনপাঠনের ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে প্রযুক্তিগত পার্থক্য গড়ে উঠবে (ডিজিটাল ডিভাইড)। উচ্চশিক্ষায় ‘ড্রপ আউট’ বাড়বে। যে পড়ুয়াদের কাছে দ্রুত ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ নেই, তাঁরা মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, ‘‘ইউজিসির দাবি, মিশ্র পদ্ধতিতে পঠনপাঠনে পড়ুয়া এবং শিক্ষকের মধ্যে যোগাযোগ নিবিড় হবে। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, ইন্টারনেট কানেকশন ক্লাসের পুরো সময় জুড়ে ঠিকঠাক না থাকায় অনেক ছেলেমেয়ে ঠিক মতো ক্লাসই করতে পারে না। দ্রুত ইন্টারনেটের সুবিধা অনেক শিক্ষকের কাছেও নেই।’’
সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক তরুণ নস্করের মত, অনলাইন শিক্ষা ছাত্র-শিক্ষক যোগাযোগের ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষ শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না। শিক্ষকই ছাত্রকে গড়ে তোলেন, যন্ত্র নয়। তিনিও ডিজিটাল ডিভাইডের প্রসঙ্গ তোলেন।
আবুটার সাধারণ সম্পাদক গৌতম মাইতি বলেন, ‘‘এই মিশ্র পদ্ধতিতে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ঘটবে। জাতীয় শিক্ষা নীতিকে বাস্তবায়িত করার এটি অন্যতম পদক্ষেপ। আবুটা এর বিরোধিতা করছে।’’
ইউজিসির খসড়ায় মিশ্র পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রমের ৪০ শতাংশ অনলাইনে, ৬০ শতাংশ অফলাইনে পড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা হবে অফলাইনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy