লখনউয়ের হয়ে আরও এক বার ব্যর্থ ঋষভ পন্থ। ২৭ কোটির ক্রিকেটারের থেকে বড় ইনিংসের অপেক্ষা আরও বাড়ল। লখনউয়ের অধিনায়ক আউট হলেন মাত্র ২ রানে। দুই ওপেনারের দাপটে ২০৩/৮ তুলল লখনউ। পন্থের ব্যর্থতার দিনে পাঁচ উইকেট নিয়ে উজ্জ্বল হার্দিক পাণ্ড্য। আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম বার পাঁচ উইকেট হল তাঁর।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা লখনউয়ের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা। প্রথম থেকেই সেই কাজ শুরু করে দেন মিচেল মার্শ। নতুন দলে এসে মার্শের ব্যাটে রানের ফোয়ারা। প্রথম দু’টি ম্যাচে অর্ধশতরান করার পর আগের ম্যাচে রান পাননি। এ দিন ফের অর্ধশতরান করলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার।
শুরু থেকেই মার্শের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে মুম্বইয়ের বোলিং। কোনও বোলারই সাফল্য পাচ্ছিলেন না। মার্শও কাউকে রেয়াত করেননি। উল্টো দিকে থাকা এডেন মার্করামের ভূমিকা ছিল দর্শকের মতোই। তিনি একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। ২৭ বলে অর্ধশতরান করেন মার্শ। আইপিএলের নতুন প্রতিভা অশ্বনী কুমারের একটি ওভার থেকে ২৩ রান করেন। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান উঠে যায় লখনউয়ের।
পেসারদের দিয়ে সাফল্য না পাওয়ায় হার্দিক আনেন স্পিনার বিগ্নেশ পুতুরকে। নিজের প্রথম ওভারেই পুতুর তুলে নেন মার্শকে। ৯টি চার এবং ২টি ছয় মেরে ৩১ বলে ৬০ রান করে আউট হন মার্শ।
অসি ক্রিকেটার ফেরার পর আক্রমণের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন মার্করাম। লখনউয়ের হয়ে আগের তিনটি ম্যাচেই রান করতে পারেননি। শুক্রবার দেখা গেল পুরনো মার্করাম, যিনি হায়দরাবাদের হয়ে এ রকমই খেলতে অভ্যস্ত ছিলেন। একটি চার এবং একটি ছয় মেরে শুরুটা ভাল করেছিলেন নিকোলাস পুরান (১২)। তবে বড় রান করতে ব্যর্থ ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।
আরও পড়ুন:
পন্থ ক্রিজ়ে টিকলেন মাত্র ৬ বল। করলেন ২ রান। এক বারও তাঁকে দেখে মনে হয়নি স্বস্তিতে রয়েছেন। বেশ সাবধানী হয়ে খেলছিলেন। শেষে হার্দিকের বলে ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ ওঠে। ঝাঁপ দিয়ে তালুবন্দি করেন পরিবর্ত ফিল্ডার করবিন বশ। অর্ধশতরান করে ফেরেন মার্করামও (৫৩)।
ওপেনারদের তৈরি করা মঞ্চে আরও আগ্রাসী হওয়া উচিত ছিল লখনউয়ের বাকি ব্যাটারদের। কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন আয়ুষ বাদোনি (৩০)। বড় রান পাননি ডেভিড মিলারও (২৭)। শেষ ওভারে দু’টি উইকেট নিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূরণ করেন হার্দিক।