শ্যামবাজার এলাকার সরস্বতী বিদ্যামন্দির স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়তী মজুমদার মিত্র জানান, এক মাস ধরে অন্য পোশাকেই ক্লাসে আসছে তাঁদের স্কুলের ৪০-৪৫ জন পড়ুয়া। তিনি বলেন, “বেশির ভাগ পড়ুয়া নিজেরাই পোশাক বানিয়ে নিয়েছে।
ফাইল চিত্র।
অতিমারি আবহে প্রায় দু’বছর বন্ধ থাকার পরে অবশেষে খুলেছে স্কুলের দরজা। কিন্তু তার এক মাস পরেও স্কুলের পোশাক হাতে পায়নি সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলগুলির অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা। ফলে আর্থিক ভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের অনেকে এখনও অন্য পোশাকেই স্কুলে আসছে বলে জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকেরা। তাই স্কুলের পোশাক দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা দফতরের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল খোলার পরে দেখা যাচ্ছে, দু’বছর আগের পোশাক অনেক পড়ুয়ারই ছোট হচ্ছে। ফলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি, স্কুলের প্রথম দিনেই অন্য পোশাকে স্কুলে এসেছিল অনেকে। তাদের ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষকেরা। কিন্তু এক মাস পরেও সেই পরিস্থিতির কিছুমাত্র বদল হয়নি। স্কুলের পোশাক দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা দফতরের তরফেও কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
শিক্ষকদের মতে, যে সব স্কুলে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে, সেখানে স্কুলের পোশাকের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। যেমন, খিদিরপুর এলাকার বঙ্কিম ঘোষ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই স্কুলের বেশির ভাগ পড়ুয়াই আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবার থেকে আসে। তার মধ্যে করোনাকালে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। জয়তী বলেন, “অনেক পড়ুয়ার বাবা ভিন্ রাজ্য থেকে কাজ খুইয়ে শহরে ফিরে এসেছেন। তাঁদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, স্কুলের পোশাক কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। অথচ, পুরনো পোশাকটি ছোট হয়ে গিয়েছে। এদের জন্য স্কুলের পোশাক জরুরি হয়ে পড়েছে।”
শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, স্কুলের পোশাক তৈরির টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে পাঠায় সর্বশিক্ষা মিশন। তার পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ওই পোশাক বানাতে দেন। এক-এক দিন এক-এক শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে এসে পোশাকের মাপ দেয়। এর দিন পনেরো পরেই নতুন পোশাক হাতে পেয়ে যায় পড়ুয়ারা।
শ্যামবাজার এলাকার সরস্বতী বিদ্যামন্দির স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়তী মজুমদার মিত্র জানান, এক মাস ধরে অন্য পোশাকেই ক্লাসে আসছে তাঁদের স্কুলের ৪০-৪৫ জন পড়ুয়া। তিনি বলেন, “বেশির ভাগ পড়ুয়া নিজেরাই পোশাক বানিয়ে নিয়েছে। কিন্তু অনেকের সেই সামর্থ্য নেই। সকলের কাছে স্কুলের পোশাক না থাকাটা বড় সমস্যা।” জয়তী জানান, এ ক্ষেত্রে ওই পড়ুয়াদের হাল্কা রঙের পোশাকে ক্লাসে আসতে বলেছেন তাঁরা। বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী জানান, তাঁদের স্কুলের প্রায় সব পড়ুয়াই পোশাক কিনে নিয়েছে। তবে স্কুল থেকে দ্রুত যাতে পোশাক দেওয়া যায়, সেই আবেদনও তিনি করেছেন।
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা অবশ্য আশ্বস্ত করে জানান, পড়ুয়াদের পোশাকের বিষয়ে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করা হয়েছে। পোশাক দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy