বের করে আনা হচ্ছে মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমকল এবং পুলিশ আধিকারিকদের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের জানান, মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং এক জনের চাকরি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাত ১১.২০ মিনিট নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ছিলেন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর সংবাদ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মৃত্যুর বিকল্প কিছু হয় না। তবু পরিবারগুলোর কথা মাথায় রেখে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য এবং পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা রেলের ভবন। অনেক পুরনো। এখানে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ভয়াবহ দুর্ঘটনা।... মোট ৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। দমকলের কাছে শুনেছি, তাঁরা লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েছিলেন। সেই লিফটই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এবং তাঁরা ঝলসে মারা যান।’’
তবে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও ধরা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। মমতা বলেন, ‘‘এটা পুরোটাই রেলের জায়গা। কিন্তু এখনও তাঁরা কেউ আসেননি। আমাদের দমকলের পক্ষ থেকে একটা মানচিত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।’’
আগুন লাগলে লিফ্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। দমকলের পক্ষ থেকেও এই সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই দমকলের কর্মীরাই কেন লিফ্টে উঠলেন, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আগুন লাগলে লিফ্ট ব্যবহার করতে নেই। কিন্তু হয়তো ওঁরা খুব দক্ষ ছিলেন। তাড়াহুড়োর জন্য উঠেছিলেন। মৃত্যুর কারণ সেটাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, কিন্তু প্রাণগুলো চলে গেল।’’
ওই এলাকাতেই ছিলেন এক ব্যক্তি, যাঁর বাবা নিখোঁজ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy