আগুন নেভাতে তৎপর দমকল কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
স্ট্র্যান্ড রোডের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে আগুনের সঙ্গে লড়াইয়ে ৯ জনের মৃত্যু হল। মৃতদের মধ্যে ৪ জন দমকল কর্মীর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই), এক আরপিএফ আধিকারিক এবং লিফটম্যান রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সোমবার রাত ১১টায় ৭ জনের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘‘১৩ তলা থেকে বেরোতে গিয়ে ৪ জন দমকলকর্মী, হেয়ার স্ট্রিট থানার এক এএসআই এবং একজন আরপিএফ আধিকারিক মারা গিয়েছেন। একজনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।’’
সূত্রের খবর, ১৩ তলায় পূর্ব রেলের দফতরে আগুন লাগার পরে নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। ওই অবস্থায় ওই কর্মীরা লিফটে করে আগুনের উৎস খুঁজতে উপরে উঠছিলেন। ১২ তলায় পৌঁছনোর পরেই তাঁরা আগুন ঝলকানি এবং ধোঁয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রাত ১১.২০ নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগুন লাগলে লিফ্ট ব্যবহার করতে নেই। কিন্তু হয়তো ওঁরা খুব দক্ষ ছিলেন। তাড়াহুড়োর জন্য উঠেছিলেন। লিফ্ট বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে।”
দামকলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ ১৩ তলায় আগুন লাগার ফলে প্রথম থেকেই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছিল। হাইড্রলিক ল্যাডার বা যন্ত্রচালিত মই এনেও সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দমকল কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রেখে লিফট ব্যবহার করে আগুনের উৎস খুঁজতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
সোমবার রাতে কলকাতা পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তিনি জানান, বেশ কয়েক জন ভিতরে আটকে রয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং দমকল কর্মীদের পাশাপাশি উদ্ধারের কাজে সিভিল ডিফেন্সের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের লাগানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy