প্রতীকী ছবি।
করানোয় মৃতের দেহ পড়ে রয়েছে বাড়িতে। আর সেই দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যেতে পুরসভার গাড়ি আসছে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও বা ১৬ ঘণ্টা পরে! গত কয়েক দিন ধরে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত সাক্ষী থাকছে এমনই পরিস্থিতির। বাড়িতে মৃত্যু হওয়া করোনা রোগীর দেহ নিয়ে পরিজন এবং এলাকার মানুষের ভোগান্তি কমাতে এ বার নড়ে বসল পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা।
সূত্রের খবর, যাতে দেহ সৎকারে নিয়ে যেতে দেরি না হয়, সে জন্য করোনার প্রথম পর্যায়ের প্রচলিত কিছু নিয়ম নতুন করে শুরু হচ্ছে। কী সেই নিয়ম? কোনও করোনা রোগীর বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে জানতে পারলেই স্থানীয় থানা প্রথমে যোগাযোগ করবে পরিবারের সঙ্গে। থানার কাজ সেখানেই থামবে না। করোনায় মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট ও প্রয়োজনে করোনা পজ়িটিভের সার্টিফিকেট জোগাড় করবে থানাই। ওই দুই সার্টিফিকেট জোগাড় করার পরে পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকে দেহ সৎকারের অনুমতিপত্র আনবেও থানা। এই তিনটি জিনিস হাতে আসার পরে তা পাঠাতে হবে পুরসভার তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।
কারা এই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক?
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, করোনায় মৃতের দেহ সৎকারের জন্য পুরসভার তরফে প্রতিটি ওয়ার্ড ও বরোয় এক জন করে নোডাল অফিসার ঠিক করা আছেন। থানার তরফে ওই দু’টি সার্টিফিকেট এবং অনুমতিপত্র সংগ্রহের পরে তা ওই নোডাল অফিসারদের কাছে পাঠাতে হবে। যা দেখে তাঁরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কী সেই ব্যবস্থা? দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মী এবং মরদেহ বহনকারী গাড়ি পাঠানোর প্রক্রিয়া তাঁরা শুরু করবেন।
লালবাজার জানাচ্ছে, এই নিয়ম নতুন নয়। গত বছর শহর জুড়ে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ে পুরসভা এবং পুলিশ যৌথ ভাবে ওই পদক্ষেপ করে। এ বার নতুন করে করোনার প্রভাব বৃদ্ধি এবং বাড়িতে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে শুরু হয়েছে। তাই গত বারের ওই নিয়মের কথা ফের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে সব থানাকে। এবং ওই নিয়ম মেনে যাতে করোনায় মৃতের দেহ দ্রুত সৎকার করা যায়, সেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে।
একাধিক থানার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, বাড়িতে করোনায় মৃত্যুর খবর পেলে ওই তিনটি জিনিস সংগ্রহ করে হোয়্যাটসঅ্যাপেই নির্দিষ্ট পুর আধিকারিকদের কাছে সে সব পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁদের ফোন করেও থানা থেকে জানানো হচ্ছে। থানার ওসিরাই পুর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং মরদেহ বহনের গাড়ির আনানোর ব্যবস্থা করছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
তা হলে দেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার অভিযোগ উঠছে কেন?
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সৎকারে দেরির পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, করোনার রিপোর্ট আসার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তখন মৃত্যুর সার্টিফিকেট পেতে দেরি হচ্ছে। স্থানীয় চিকিৎসকেরাও বহু ক্ষেত্রে ওই ডেথ সার্টিফিকেট ইসু করছেন না। তাই পুলিশের ওই অংশের দাবি, করোনার রিপোর্ট আসার আগেই যদি রোগীর মৃত্যু হয়, তখন দেহ নিয়ে কী করা হবে? তার নির্দিষ্ট নিয়ম রাজ্য
সরকার জানালে সৎকার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy