ফাইল চিত্র।
দেড়শো শয্যার স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে রেডিয়োলজি এবং প্যাথলজি পরীক্ষার দর গত ২ জুলাই বেঁধে দিয়েছিল স্বাস্থ্য কমিশন। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কমিশনে চিঠি দিয়েছিল পূর্বাঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠন। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। ১৫টি পরীক্ষার যে খরচ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা বলবৎ থাকছে বলেই জানিয়েছে কমিশন।
বুকের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, সিটি পালমোনারি অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি, ডি ডাইমার, সিআরপি, কমপ্লিট হিমোগ্রাম-সহ বিভিন্ন পরীক্ষার খরচ নির্দিষ্ট করে নির্দেশিকা জারি করা হলে আপত্তি জানান বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন ওঠে, ১৫০ শয্যার নীচের হাসপাতালের ক্ষেত্রে ছাড় কেন? বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘দর’ বেঁধে দিলে হাসপাতালের অস্তিত্ব বাঁচানোর প্রশ্নও উঠছে বলে কমিশনকে জানান কর্তারা। কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “রেডিয়োলজি এবং প্যাথলজিতে প্রায় ২০০-২৫০টি পরীক্ষার মধ্যে ১৫টির খরচ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকা রাজ্যে ১৫০ শয্যার অন্তত ৭০-৮০টি হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু ওই সংগঠনের ১৯ জন সদস্য আছেন। দু’-তিন জন ছাড়া বাকিদের সমস্যা নেই। তিন-চারটি হাসপাতালের এক-দু’টি পরীক্ষার খরচ নিয়ে সমস্যা রয়েছে।” অসীমবাবু জানান, ১৫০টির কম শয্যাওয়ালা হাসপাতালের খরচ কম, তাই তাদের নির্দেশিকার আওতায় আনা হয়নি। বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের পূর্বাঞ্চলীয় সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন, “এখন যে ভাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি কাজ করছে, তাতে খরচ বেঁধে দেওয়া ঠিক নয় বলেই জানিয়েছি। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালের তুলনা চলে না। কমিশন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy