প্রতীকী ছবি।
চামড়ার বর্জ্য পোড়ানোর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। কারণ, শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকায় এটি বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। চামড়ার বর্জ্য পোড়ানোর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, একটি মামলার প্রেক্ষিতে জাতীয় পরিবেশ আদালতে তা সম্প্রতি হলফনামা দিয়ে জানাল রাজ্য সরকার।
ওই হলফনামায় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ট্যানারি থেকে উৎপাদিত চামড়ার বর্জ্য নষ্ট করে ফেলার জন্য কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় আদুলগোরি মৌজায় এক একর জমি নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং টেক্সটাইল দফতরের আর্থিক সহায়তায় কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ওই জমি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রস্তুত করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে চামড়ার বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করতেও আলাদা পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। চামড়ার বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সে একটি ভবন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি টাকা। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হবে।’’ তবে তত দিন পর্যন্ত বর্জ্য নিয়ে কী করা হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, লরি বোঝাই করে চামড়ার বর্জ্য পোড়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেই কারণে পুলিশের হাতে একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতারও হয়েছেন ইতিমধ্যে। সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্তের বক্তব্য, চামড়ার বর্জ্য না পুড়িয়ে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তা থেকে ব্যবহারযোগ্য জিনিস পাওয়ার জন্য বর্তমানে প্রযুক্তি রয়েছে। বিদেশে সেটাই করা হয়। রাজ্য সরকারেরও সেই চেষ্টাই করা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy