এসএসকেএম হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
সারা দেশে ‘হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি’-তে এমসিএইচ পড়ার জন্য আসন সংখ্যা মাত্র ২০। অবশ্য সেই তালিকায় এ রাজ্যের কোনও মেডিক্যাল কলেজ এত দিন ছিল না। তবে, চলতি বছর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে চালু হচ্ছে ওই পোস্ট-ডক্টরাল কোর্স। বর্তমানে সেই আসন মিলিয়ে দেশে এই বিষয়ের মোট আসন হল ২৪।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের কাছে দীর্ঘ দিন আগে মাথা ও ঘাড়ের শল্য চিকিৎসায় এমসিএইচ কোর্স চালুর জন্য আবেদন করেছিলেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এনএমসি-র প্রতিনিধি এসে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। তাতে ভাল ভাবে উতরে যায় রাজ্যের ওই মেডিক্যাল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগ। দিনকয়েক আগে এনএমসি-র তরফে ওই হাসপাতালে মাথা ও ঘাড়ের শল্য চিকিৎসায় এমসিএইচ করার অনুমোদন মিলেছে। তিন বছরের ওই পোস্ট-ডক্টরাল কোর্সে চারটি আসনে পড়ুয়া ভর্তি করা যাবে।
জানা যাচ্ছে, দিল্লি এমসে তিনটি, পিজিআই চণ্ডীগড়ে দু’টি, হৃষীকেশ এমসে তিনটি, কেরলের একটি মেডিক্যাল কলেজে দু’টি, মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়ালে চারটি— এ ভাবে দেশে মোট ২০টি আসন ছিল। এ বার জুড়ল এসএসকেএম। নাক-কান-গলা বিভাগে এমএস পাশ করার পরে সর্বভারতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে এই পোস্ট-ডক্টরাল কোর্সে সুযোগ মেলে। পিজির মাথা ও ঘাড়ের শল্য চিকিৎসা বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন, এসএসকেএমে গলা ও মুখের ক্যানসারের শল্য চিকিৎসা হয়। কিন্তু তার পঠনপাঠন হত না। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের সকলের গর্বের বিষয়। কারণ, দেশের গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানেই এটা পড়ানো হয়। মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়ালের মতো এ বার এসএসকেএমকেও চারটি আসনের অনুমোদন দেওয়া হল।’’
মাথা ও ঘাড়ের শল্য চিকিৎসকের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মাথা ও ঘাড়ের শল্য চিকিৎসক সৌরভ দত্তের কথায়, ‘‘পূর্বাঞ্চলের জন্য এটা সুখবর। বড় কারণ, বর্তমানে দেশে মুখ ও গলার ক্যানসার বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে এমসিএইচ করার সুযোগ বৃদ্ধি মানে, আরও চিকিৎসক মিলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy