প্রতীকী ছবি।
জেলাশাসকের ধমক খেয়ে অবশেষে তৎপর হল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। মঙ্গলবারই পাঁচ পুরসভার সঙ্গে বৈঠকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার কথা বলেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। এর পরেই বুধবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার কিছু কিছু ওয়ার্ডে সাফাই অভিযান শুরু হয়েছে। বিলি হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার। মশার লার্ভা মারার কাজও শুরু হয়েছে।
এর মধ্যেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার নানা এলাকায় ছড়িয়েছে ডেঙ্গি। কদমতলায় জ্বরে আক্রান্ত নাতনিকে দেখতে গিয়ে ডেঙ্গির কবলে পড়েন ঠাকুরমা। দু’জনকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। সেখানে দেখা যায়, তাঁরও ডেঙ্গি। তড়িঘড়ি ভর্তি করাতে হয় নার্সিংহোমে।
কলকাতা পুরসভা যেমন কাগজ-কলম নিয়ে পুরকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠাচ্ছে, সেই পরিকাঠামো এখনও দক্ষিণ দমদম পুরসভায় নেই। এক পুরকর্মীর বক্তব্য, ‘‘আমরা মশার লার্ভার নমুনা সংগ্রহ করতে পারি। কিন্তু সেগুলি কোন মশার, বুঝব কেমন করে?’’ ওই পুরসভায় পতঙ্গবিদও নেই। নেই কর্মীদের তেমন প্রশিক্ষণও।
দমদম স্টেশন সংলগ্ন এক রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেল, প্রতি দিনই এলাকা থেকে একাধিক মানুষ রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন। অনেকেরই ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জমে থাকা জল পরিষ্কার করা, মশা মারা তো দূর, নিয়মিত নর্দমাটুকুও পরিষ্কার করা হয় না।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা বলছে, এ বছর শুরু থেকেই কাজ হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতা প্রচারে। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের সাড়া মিলছে না। দক্ষিণ দমদম-সহ কলকাতা সংলগ্ন পাঁচ পুরসভার ডেঙ্গি নিয়ে রিপোর্ট অবিলম্বে জমা দিতে বলেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। কোথাও জ্বরের প্রকোপ বাড়লে কেন তা পুরসভার নজর এড়িয়ে গেল, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy